হাজীগঞ্জে শ্লীলতাহানির অভিযোগে যুবককে পিটিয়ে মাথা ন্যাড়া

হাজীগঞ্জে শ্লীলতাহানির অপবাদে বেদম পেটানোর পর আহত যুবকের মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছেন এক ইউপি সদস্য। হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কূল পশ্চিম ইউনিয়নের নাটেহরা গ্রামের ইউপি সদস্য মুসলিম গাজীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ।

সোমবার রাতে উপজেলার ৭নং পশ্চিম বড়কূল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের নাটেহরা গ্রামের গাজী বাড়িতে সালিশ বৈঠকের নামে এ বর্বরতা চালানো হয়। ঘটনার রাতেই পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওইদিন সন্ধ্যায় নাটেহরা গ্রামের ছেনা গাজী বাড়ির মৃত নুরু গাজীর ছোট ছেলে তিন সন্তানের জনক মালেক গাজীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ইউপি সদস্য মুসলিম তাকে ধরে আনতে কয়েকজনকে নির্দেশ দেন।

ইউপি সদস্য মুসলিমের নির্দেশ পেয়ে স্থানীয় গ্রাম্য মাতব্বর ছিদ্দিক মাঝি, এলাহি গাজীর ছেলে সোহেল গাজী, এস্কান্দার গাজীর ছেলে ফারুক গাজী ও তার সাঙ্গপাঙ্গ তাকে জোর করে তুলে নিয়ে আসে। এরপর একটি কক্ষে তাকে আটকে রাখে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শুরু হয় সালিশ বৈঠক। সালিশে প্রথম সিদ্ধান্ত হয় মালেক গাজীকে ৫০টি জুতার বাড়ি, ২৫ হাত নাকে খত দেয়া ও পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়া। পরে মাতব্বরদের সিদ্ধান্ত হয় ২৫টি জুতার বাড়ি ও মাথা ন্যাড়া করে দেয়ার। এসময় ইউপি সদস্য মুসলিম নিজেই লাঠি দিয়েই মালেক গাজীকে বেধম মারধর করে। এক পর্যায়ে মালেক গাজী অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে ইউপি সদস্যের নির্দেশে মালেক গাজীর মাথা ন্যাড়া করে ছেড়ে দেয়া হয়। ১৮ সেপ্টেম্বর মালেক গাজী বাদী হয়ে ১০ জনকে অভিযুক্ত করে হাজীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ অভিযোগে ইউপি সদস্য মুসলিম গাজীকে নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইউপি সদস্য মুসলিম গাজী বলেন, কেউ কিছুই দেখেননি, মুখে কুলপ এঁটে থাকবেন। সালিশে উপস্থিত ওই গ্রামের মাতব্বর জানান, সালিশের সিদ্ধান্ত মেম্বার একাই নিয়েছেন। তার ওপর কেউই কথা বলতে সাহস পায়নি।