স্বামীর পরকীয়ায় বাধা, ৮ মাসের ‘অন্তঃসত্ত্বা’র পেটে লাথি

পারমিতা কয়াল নামে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর পেটে লাথি, ঘুষি মারার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের। ভারতের একটি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ২০১০ সালে কোলাঘাটের খন্নাডিহি মনসাতলার বাসিন্দা প্রহ্লাদ কয়ালের সঙ্গে বিয়ে হয় পারমিতা কয়ালের। একই পাড়ার বাসিন্দা প্রহ্লাদের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল পারমিতার। পারমিতার পরিবার যদিও সেই সম্পর্ককে মানেনি। পরিবারের অমতেই প্রহ্লাদকে বিয়ে করেছিলেন পারমিতা।

বছর ঘুরতে ঘুরতেই পারমিতা কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। বিয়ের সাত বছর পর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন প্রহ্লাদ। স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পারেন পারমিতা। প্রতিবাদ করেন স্বামীর এমন সম্পর্কের। আর তারপর থেকেই শুরু হয়ে যায় পারমিতার ওপর অত্যাচরের। পারমিতার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে প্রহ্লাদ ও তার বাড়ির লোকজন।

দিনে দিনে অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকে। তবুও বাবার বাড়িতে কোনো কথাই জানাননি পারমিতা। ইতিমধ্যে দ্বিতীয়বারের জন্য গর্ভবতী হয়ে পড়েন পারমিতা। তার অভিযোগ, কয়েকদিন ধরেই তার অত্যাচারের মাত্রা বাড়ে। তাকে বাড়ি থেকে তাড়ানোর জন্য শুরু হয় মারধর।

৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা পারমিতা আর সহ্য করতে না পেরে, এবার শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে বাবার বাড়ি আসার চেষ্টা করে। কিন্তু তাতেও পারমিতার পিছু ছাড়েননি প্রহ্লাদ। অভিযোগ, পারমিতার পিছু ধাওয়া করেন প্রহ্লাদ। তারপরই শুরু হয় পারমিতাকে রাস্তায় ফেলে মারধর। পারমিতার পেটে লাথি, ঘুষি মারেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পারমিতার মা। অভিযোগ, তাকেও মারধর করা হয়। এদিকে মারের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন পারমিতা। বর্তমানে পারমিতা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎধীন।

এই ঘটনায় কোলাঘাট বিট হাউজ থানায় অভিযোগ জানাতে যান পারমিতার পরিবারের লোকজন। কিন্তু থানায় কোনো অভিযোগ না নিয়েই তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি পারমিতার পরিবারের।