সিহাবুলও চেয়েছিলেন নিরাপদ সড়ক

‘নিরাপদ সড়ক চাই’ ফ্রেম ব্যবহার করে সিহাবুল তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলের ছবিটি দিয়েছেন গত বছরের ২ আগস্ট। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সারা দেশ উত্তাল তখন। ওই ছবি দিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছিলেন তিনি।

খন্দকার সিহাবুল মনির ওরফে সাব্বিরের (৩০) নিরাপদ সড়কের দাবি পূরণ হয়নি। উল্টো সড়কের বেপরোয়ার পিকআপ ভ্যান কেড়ে নিয়েছে সিহাবুলের প্রাণ। গত বৃহস্পতিবার সাভারের আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকায় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক পার হওয়ার সময় উল্টো পথে আসা পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় আহত হন তিনি। শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহত সিহাবুল বগুড়া শহরের মফিজপাগলার মোড়ের খন্দকার মামুন হোসেনের একমাত্র ছেলে। তিনি আশুলিয়ার শারমীন গ্রুপে সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। থাকতেন রাজধানীর মিরপুরে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক এই শিক্ষার্থী গত বছরের মার্চে বিয়ে করেন।

পুলিশ সিহাবুলকে ধাক্কা দেওয়া পিকআপটি চালকসহ আটক করেছে। পুলিশ সূত্র ও সিহাবুলের স্বজনেরা বলেছেন, গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে সিহাবুল আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকায় ইউসিবি ব্যাংকের বুথ থেকে টাকা তুলে হেঁটে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময় উল্টোপথে আসা একটি পিকআপ ভ্যানে তাঁকে ধাক্কা দিলে মাথায় আঘাত পেয়ে সড়কে লুটিয়ে পড়েন তিনি।

স্থানীয় লোকজন চালকসহ পিকআপটি আটকের পর সিহাবুলকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ওই দিনই তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে তিনি মারা যান।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিরাজ হোসেন বলেন, স্থানীয় লোকজন পিকআপসহ চালক সেলিমকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেন। চালকের বিরুদ্ধে সিহাবুলের মামা মাহফুজুল হাসান থানায় মামলা করেছেন। তাঁকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।