প্যারাসিটামল খাবেন, নাকি খাবেন না

স্বাস্থ্য ডেস্ক : সাধারণত জ্বর হলেই আমরা প্যারাসিটামলের শরণাপন্ন হই। কিংবা যে কোনো ধরনের ব্যাথায় প্যারাসিটামলই আমাদের একমাত্র ভরসা। কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই আমারা খুব সহজে ফার্মেসি থেকে প্যারাসিটামল কিনে ফেলতে পারি। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, সব ধরনের প্যারাসিটামলই কি খাওয়া ঠিক?

দেশে গত জুলাই মাসে জাতীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটির ২৪৪তম সভায় এক ধরনের প্যারাসিটামলে অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে। সাধারণ অনেকেই মনে করছেন, প্যারাসিটামলই বুঝি নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু বাস্তবতা আসলে তা নয়। প্যারাসিটামল ৫০০ মিলিগ্রাম ও ডি-এল মেথিওনিন ১০০ মিলিগ্রামের যৌগ হয়ে যে প্যারাসিটামল তৈরি হয়, সেটিই ওই ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটির সভায় নিষিদ্ধ করা হয়। প্যারাসিটামল হলো এসিটামিনোফেন নামক এক ধরনের প্রদাহবিরোধী রাসায়নিক পদার্থ।

প্রাথমিক পর্যায়ের জ্বর ও ব্যথা-বেদনা কমাতে এটি সাহায্য করে। জ্বর ও ব্যথা-বেদনার সাথে সংশ্লিষ্ট রোগটি কমাতে পরবর্তীতে এটির সাথে বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করা হয়, যেমন ক্যাফেইন, ডি-এল মেথিওনিন ইত্যাদি।
কিন্তু এক সময় প্রমাণিত হলো যে, ডি-এল মেথিওনিন ব্যবহার করলে তা উপকারের পরিবর্তে বরং ক্ষতিই করে। কারণ ডি-এল মেথিওনিনে থাকা মেথিওনিন হৃদরোগ, ক্যানসার, যকৃতের সমস্যা, মস্তিষ্কের ক্ষতি ও রক্তের অম্লতা বৃদ্ধির ঝুঁকি তৈরি করে। এছাড়া ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য মেথিওনিনযুক্ত প্যারাসিটামল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

জাতীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটির ডি-এল মেথিওনিন যুক্ত প্যারাসিটামলই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই ওষুধ কেনার আগে ওষুধের প্যাকেটে এর উপকরণের নাম দেখে তবেই কিনুন। মনে রাখবেন, শুধু প্যারাসিটামল কখনোই নিষিদ্ধ নয়।