পারুল নয়, নির্যাতিত হয়েছে গণতন্ত্র ও মৌলিক মানবাধিকার: ড. কামাল

নোয়াখালীর সুবর্ণ চরের গণধর্ষণের শিকার পারুলের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, পারুলের উপর মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বরোচিত লোমহর্ষক কাণ্ড ঘটেছে। এই লজ্জা ধর্ষিতা পারুলের নয় বরং এ লজ্জা সমগ্র জাতির। পারুল নির্যাতিত নয়, বরং নির্যাতিত হয়েছে আমাদের গণতন্ত্র ও মৌলিক মানবাধিকার। এখন থেকে পারুলের সকল দায়িত্ব আমাদের সকলের।

শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে কামাল হোসেন এ কথা বলেন।

ড. কামাল হোসেন বলেন, এই ঘটনা জাতি হিসাবে আমাদেরকে অত্যন্ত হেয় প্রতিপন্ন করেছে। কোনো
গণতান্ত্রিক দেশে এমন ঘটনা কল্পনাও করা কঠিন। সোস্যাল মিডিয়া ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের সূত্র মতে ৩০

ডিসেম্বর রোববার নির্যাতনের শিকার এই নারী তাঁর নিজ এলাকার একটি ভোট কেন্দ্রে নিজের পছন্দের প্রতীকে ভোট দিতে চাইলে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তাকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে বলে। পারুল তাদের কথায় সায় না দিয়ে নিজের পছন্দের প্রতীকে ভোট দিয়ে বাহির হলে সন্ত্রাসীরা পারুলকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।

সরকার এ ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছে অভিযোগ করে ড. কামাল বলেন, সন্ত্রাসী ধর্ষকদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। পুলিশ বাদীর কথিত মতে হুকুমের আসামীসহ অনেকের নাম বাদ দেওয়াতে আমি ক্ষোভ প্রকাশ করছি।এবং অনতিবিলম্বে তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি করছি। এই ঘটনা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার, মৌলিক মানবাধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে হুমকির সম্মুক্ষীণ করেছে এবং এতে আমরা ভীষণ ভাবে ক্ষুব্ধ, উদ্বিগ্ন ও মর্মাহত। এরূপ ঘটনার যেন আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য দেশের মর্মাহত
জনগণকেই উদ্যোগী হতে হবে।