নরসিংদীতে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে `পিতা’ গ্রেফতার

নরসিংদীর মনোহরদীতে প্রায় একবছর ধরে নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে এক পাষণ্ড পিতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার একদুয়ারিয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয় তাকে। মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত শরীফ হোসেন (৩৭) একদুয়ারিয়া গ্রামের আব্দুল আউয়ালের পুত্র। তিনি পেশায় ভ্যানচালক। বৃহস্পতিবার রাতেই কিশোরীর মা বাদী হয়ে মনোহরদী থানায় মামলা দায়ের করেন।

ধর্ষিতা ওই কিশোরীর মা সাংবাদিকদের জানান, তারা গাজীপুরের কালিগঞ্জ উপজেলার দেওপাড়া গ্রামে বাবার বাড়িতে থাকতেন। দাম্পত্য জীবনে তাদের এক মেয়ে (১৫) ও দশ বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। প্রায় একবছর আগে বাড়িতে কেউ না থাকায় কিশোরী মেয়েকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন বাবা শরীফ হোসেন। ভয়ে মেয়েটি এ ঘটনা কাউকে জানায়নি। কিছুদিন পরে একই কায়দায় আবারো তাকে ধর্ষণ করা হয়। এভাবে বছর জুড়ে পুনরাবৃত্তি হতে থাকলে মেয়েটি তার মাকে সবকিছু জানায়। লোকলজ্জার ভয়ে মা এ বিষয়ে কাউকে কিছু বলেনি।

দিন-দিন স্বামী শরীফ হোসেন আরো বেপোরোয়া হয়ে পড়েন। ধীরে ধীরে আশপাশের লোকজনও বিষয়টি আঁচ করতে পেরে এলাকাবাসী তাদেরকে এলাকা ছাড়া করেন। প্রায় তিন মাস পূর্বে ভ্যানচালক শরীফ পরিবার নিয়ে পুনারায় নিজ বাড়িতে চলে আসেন। সেখানে একদুয়ারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণীতে মেয়েকে এবং ছেলেকে একদুয়ারিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীতে ভর্তি করান।

বৃহস্পতিবার বিকেলে মেয়েটি গোসল করতে যায়। এসময় বাবা শরীফ হোসেন গোসলখানায় মেয়েকে দেখতে পেয়ে সেখানে গিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। সে সময় কিশোরীর মা বাড়ির বাইরে ছিলেন। এলাকাবাসী বিষয়টি টের পেয়ে শরীফকে আটক করে পুলিশের কাছে শোপর্দ করেন।

মনোহরদী থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় ধর্ষক শরীফকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার কিশোরীকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।