স্টাফ রিপোর্টার : মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিক ফরিদের (২৮) বাড়িতে অনশনে করছেন তার প্রেমিকা রুপালী আক্তার (২৩)।
শুক্রবার দুপুর থেকে সাটুরিয়া উপজেলার ফুকুরহাটি ইউনিয়নের আইড়মারা এলাকায় মৃত আকালী মিয়ার বাড়িতে অনশন চালিয়ে যাচ্ছে রুপালী।
বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করার চেষ্টা করা হলেও শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তার সুষ্ঠ সুরাহা সম্ভব হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা।
সরেজমিনে শনিবার বিকেলে আইড়মারা এলাকায় ফরিদের বাড়তে কথা হলে রুপালী আক্তার জানান, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পৌলি এলাকার রুপচাঁদ হোসেনের মেয়ে তিনি। পারিবারিক অভান অনটনের জন্য মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকার আয়েশা আবেদ ফাউন্ডেশনে পাঞ্জাবী সেলাইয়ের কাজ করেন তিনি।
ফরিদ হোসেন ওই একই প্রতিষ্ঠানে পাঞ্জাবী সেকশনের কাটিং মাষ্টার হিসেবে কর্মরত। প্রায় পাঁচ মাস আগে ফরিদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে তার। এর কিছুদিন পর রুপালীকে বিয়ে করার কথা বলে ফরিদ হোসেন মানিকগঞ্জ শহর এলাকার এক ভাবির বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তার সাথে অবৈধভাবে শারীরিক সম্পর্কের ফলে গর্ভবতী হয়ে যায় রুপালী।
কিন্তু গর্ভবতী অবস্থায় তাকে বিয়ে করা সম্ভব নয় বলে অবৈধ গর্ভপাত ঘটাতে বাধ্য করে ফরিদ। এতে সে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে গেলে মানিকগঞ্জ শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিক থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন তিনি। এরপর থেকে বিয়ের কথা বলে বলে একাদিক বার ওই ভাবির বাসায় শারীরিক মেলামেশা করে ফরিদ।
পরে রুপালী বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকলে ফরিদ তাকে তার বাড়িতে আসতে বলে। পরে শুক্রবার দুপুরে ফরিদের বাড়িতে আসে রুপালী। বাড়িতে আসার পর রুপালীর সাথে কিচ্ছুক্ষণ ভালো ব্যবহার করলেও পরে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় ফরিদ।
এরপর ফরিদের মায়ের সাথে রাত্রীযাপন করে রুপালী। শনিবার সকালে রুপালীকে রান্না করতে বলে ঘরে তালা দিয়ে ফরিদের মা ও বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়ভাবে কয়েক দফায় বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করে কোন সুরাহা হয়নি বলে জানান রুপালী আক্তার ও ফরিদের প্রতিবেশীরা।
ফুকুরহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফাজ উদ্দিন জানান, ছেলে পক্ষের লোকজন উপস্থিত না থাকার কারণে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংসা করা সম্ভব হয়নি। পরে থানা পুলিশে খবর দেওয়া হয় বলেও জানান তিনি।
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) আমিনুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সব খবর/ মানিকগঞ্জ/ ৩০ জুন ২০১৮/ লিটন