ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দায়িত্ব পেলেন বিজেপি সাংসদ অমিত শাহ। প্রতিরক্ষা দফতর গেল রাজনাথ সিং-এর কাঁধে। আর নরেন্দ্র মোদীর প্রথম দফার কার্যকালের প্রতিরক্ষার দায়িত্বে থাকা নির্মলা সীতারমনকে দেওয়া হল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব। বিদেশ দফতর সামলাবেন এস জয়শংকর। রেলমন্ত্রী – পীযুষ গোয়েল, নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী, বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী পোখরিয়াল, সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নাকভি, পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গডকরি, পরিবেশ, বন ও আবহাওয়ার পরিবর্তন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, কর্মীবর্গ মন্ত্রক, মহাকাশ গবেষণা, পরমাণু শক্তি, পেনশন থাকছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে।
স্বাস্থ্যগত কারণে এবার মন্ত্রী হতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন সুষমা স্বরাজ। তাই হাই প্রোফাইল পররাষ্ট্র পোর্টফোলিওর জন্য বেঁছে নেওয়া হয়েছে পররাষ্ট্র দপ্তরের সাবেক আমলা জয়শঙ্করকে। সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমন পেয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড সংক্রান্ত মন্ত্রণালয় এর দায়িত্ব। নিতিন গড়কারি আর রবি শঙ্কর প্রসাদ থাকছেন আগের দায়িত্বেই। নিতুন সড়ক পরিবহন এবং হাইওয়ে মন্ত্রী আর রবি শঙ্কর আইন ও বিচারমন্ত্রী। রামবিলাস পাসওয়ান থাকছেন ভোক্তাস্বার্থ মন্ত্রী আর নরেন্দ্র সিং তোমারকে দেয়া হয়েছে কৃষি ও কৃষক স্বার্থ সুরক্ষা মন্ত্রী। সদানন্দ গৌড়া পেয়েছেন রাসায়নিক ও সার মন্ত্রণালয় এর দায়িত্ব। আর পিযুশ গয়াল ও ধর্মেন্দ্র প্রধান থাকছেন তাদের আগের রেলওয়ে ও পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয় এর দায়িত্বে।
বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন নরেন্দ্র মোদী। শপথ নেন মোট ৫৭ জন মন্ত্রী। কে কে পূর্ণমন্ত্রী, স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন, তা শপথের সময়ই জানা গিয়েছে।মন্ত্রিসভায় পাওয়ার দৌড়ে বাজিমাত করল উত্তরপ্রদেশ। গোবলয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য থেকে জায়গা পেয়েছেন দশ জন। এর পরেই রয়েছে মহারাষ্ট্র এবং বিহারের নাম। ওই দুই রাজ্য থেকে মন্ত্রী হয়েছেন সাত জন করে। তবে বাংলা-বিহারে মোদী ঝড়ের প্রবল হাওয়া বইলেও সেখান থেকে মাত্র দু’জন করে মন্ত্রী হয়েছেন।
উত্তরপ্রদেশে এ বার ৮০টি আসনের মধ্য ৬২টি দখল করেছে বিজেপে। অন্য দিকে, ওই রাজ্য মোদীর শরিক দল জিতেছে দু’টিতে। বারাণসী লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী নরেন্দ্র মোদী ছাড়াও এ রাজ্য থেকে মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন রাজনাথ সিংহ, স্মৃতি ইরানি, ভি কে সিংহ, সন্তোষ গাঙ্গোয়ার-সহ একাধিক পরিচিত মুখ। এ বারের মন্ত্রিসভায় প্রায় সমস্ত রাজ্য থেকেই প্রতিনিধি থাকলেও মিজোরাম, সিকিম এবং ত্রিপুরার মতো দেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তের এবং অন্ধ্রপ্রদেশে কোনও প্রতিনিধি নেই।