ফুটবলে গোল করার সহজতম সুযোগ ধরা পেনাল্টি কিককে। গোলরক্ষককে একা পেয়ে ডি-বক্সের মধ্য থেকে নেয়া শটে গোলের সম্ভাবনা অন্য যেকোন সুযোগের চেয়ে বেশি থাকে। কিন্তু এই সহজতম সুযোগটাই যেন মিশরের তারকা ফুটবলার মোহাম্মদ সালাহর কাছে এলো সাক্ষাৎ বিভীষিকা হয়ে।
শনিবার রাতে নাইজারের বিপক্ষে আফ্রিকান নেশনস কাপের বাছাইপর্বের ম্যাচে ৬-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছে মোহাম্মদ সালাহর দেশ মিশর। ম্যাচে নিজে ২ গোল করেন লিভারপুলের এ তারকা ফরোয়ার্ড, সতীর্থদের দিয়ে করান আরও দুটি। কিন্তু দুইবার পেনাল্টি পেয়ে একবারও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি তিনি।
যার দলে হয়নি তার ব্যক্তিগত সুপার হ্যাটট্রিক, বাড়েনি মিশনের জয়ের ব্যবধান। ম্যাচের শুরুতেই পেনাল্টি পেয়ে যায় মিশর। স্বভাবতই শট নিতে যান সালাহ। কিন্তু নাইজারের গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় সে যাত্রায় গোল বঞ্চিত থাকেন বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার সালাহ।
তবে পেনাল্টি মিসের দায় শোধ করতে বেশি দেরি করেননি সালাহ। ১৩তম মিনিতে তার বুদ্ধিদীপ্ত ডিফেন্স চেড়া পাস ধরেই ম্যাচের প্রথম গোল করেন মিশরের মারজান মোহসেন। মিনিট সাতেক পরেই আয়মান আশরাফের কল্যাণে ব্যবধান দ্বিগুণ করে তারা।
২৮তম মিনিটে আবারো পেনাল্টি পায় মিশর। এবারও শট নিতে এগিয়ে যান সালাহ। আবারো তার শট রুখে দেন নাইজারের গোলরক্ষক। তবে গোলরক্ষকের ঠেকানো বল আবারো সালাহর পায়ে আসলে রিবাউন্ডে ম্যাচের তৃতীয় ও নিজের প্রথম গোল করেন সালাহ।
তিন গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় মিশর। বিরতি থেকে ফিরে গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয় ম্যাচের ৭৩ মিনিট পর্যন্ত। এবারও গোলের জোগানদাতা সালাহ এবং গোলদাতা মারজান মোহসেন। সালাহর পাস ধরে কোণাকুনি শটে ম্যাচের চতুর্থ গোলটি করেন মোহসেন।
৮৫তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন সালাহ। এল মোহামাদির মাপা ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে ম্যাচের পঞ্চম গোল করেন তিনি। আর যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে ম্যাচের ষষ্ঠ ও শেষ গোলটি করেন আর্সেনালের ফুটবলার মোহামেদ এলনেনি।