হৃদয় বেকারির নেই বিএসটিআই সনদ

জাহিদুল হক চন্দন : মানিকগঞ্জের বেউথায় দীর্ঘদিন ধরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি করছে হৃদয় বেকারি নামে একটি প্রতিষ্ঠান। নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরির পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটিতে নেই বিএসটিআইয়ের সনদ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার জরিমানা করা হলেও টনক নড়েনি প্রতিষ্ঠানটির। বারবার জরিমানা না করে বেকারিটিকে সীলগালা করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় একযুগ ধরে পৌর এলাকার বেউথায় বিস্কুট, কেক, রুটিসহ বিভিন্ন খাবার তৈরি করে আসছে হৃদয় বেকারি। প্রতিষ্ঠানটির চারটি ভ্যানে করে শহর ও এর আশেপাশের বিভিন্ন দোকানে এদের পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। তবে, খাবারের গুণগত মানের জন্য এসব প্রতিষ্ঠানে বিএসটিআইরে সনদ থাকার নিয়ম থাকলেও হৃদয় বেকারিতে তা নেই।

সরেজমিন মানিকগঞ্জ শহর ঘুরে দেখা গেছে বিভিন্ন এলাকায় হৃদয় বেকারির পণ্য সামগ্রি বিক্রি করা হচ্ছে। এসব খবার বিশেষ করে স্কুলের শিশুরা খেয়ে থাকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেউথার কয়েজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে হৃদয় বেকারি খাবার তৈরি করছে। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

বেকারীর মালিক আইয়ুব আলী বিএসটিআইয়ের সনদ না থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ কিসওয়ার সিলভানা বলেন, বিএসটিআইয়ের সনদ ছাড়া বেকারির খাবার গুলোতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। ওই সব বেকারির খাবারে শিশুদের বিভিন্ন অসুখ দেখা দেয়।

কনজ্যুমার এ্যাসোসিয়েসন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শামছুন্নবী টিউলিপ বলেন, বেকারির পরিবেশ নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর হলে জরিমানার বিধান রয়েছে। যদি তারপরেও তারা সংশোধন না হয়ে পুনরায় একি কাজ করে তাহলে এই প্রতিষ্ঠান সিলগালা করা যেতে পারে।

এব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পঙ্কজ ঘোষ সব খবরকে জানান, বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়া খাদ্য তৈরি আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। তদন্ত করে হৃদয় বেকারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সব খবর/ মানিকগঞ্জ/ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/ লিটন