সংবাদ সম্মেলনে এত চাটুকারিতা কেন

নঈম নিজাম : সংবাদ সম্মেলনে একজন সংবাদকর্মীর কাজ কী? এই প্রশ্ন নতুন করে করার কিছু নেই। তবুও মাঝে মাঝে সিনিয়র সহকর্মীদের প্রশ্ন ও উপমা দেখে হতাশ হয়ে যাই। আবার আশার আলোও দেখতে পাই নবীনদের কাছ থেকে। সাংবাদিক হিসেবে দেশ-বিদেশে অনেক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়েছি, প্রশ্ন করেছি। দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনের শুরুতে আমি আওয়ামী লীগ বিট করতাম। ১৯৯১ সালের নির্বাচনকালীন এবং এর পরে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা অল্প কয়েকজন সাংবাদিক সারা দেশ সফর করেছি। আমরা খবর পরিবেশন করতাম পেশাগত দায়িত্ব নিয়েই। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী আমাদের সবাইকে জানতেন, চিনতেন। আমরা আমাদের মতো খবর তৈরি করতাম। শুধু দেশেই নয়, বিরোধী দলে থাকতে তাঁর সঙ্গে বিদেশেও আমি গিয়েছিলাম। তাঁর প্রাণবন্ত আড্ডা কোনো সাংবাদিকই ভুলতে পারবেন না। তিনি খুব সহজে সবাইকে আপন করে নিতে পারেন। ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর সঙ্গে সর্বশেষ দিলিস্ন আজমির গিয়েছি। দেশে-বিদেশে অনেক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়েছি একজন সংবাদকর্মী হিসেবে। তাঁর সুসময়, খারাপ সময় দুটিই দেখেছি। সহজে সব কিছু মোকাবিলার সাহসও দেখেছি। ২০০১ সালের বিপর্যয়ের কথা এখনো মনে আছে। ক্ষমতার বাইরে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগ এক কঠিন অবস্থায় পড়ে। বিএনপি-জামায়াত সরকারের তা-ব দেশের মানুষের মধ্যে উৎকণ্ঠা তৈরি করে। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী নামাতে বাধ্য করে তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে। ক্ষমতা ছাড়ার পর পরই কঠিন এই সংকটের মুহূর্তে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর মনোভাব জানতে আমরা কয়েকজন সাংবাদিক তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। সুধা সদনে যাওয়ার পর তিনি আমাদের কথা শুনে নেমে এলেন। বললেন, সারা দেশের নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াবেন। তাঁর সাহস, মনোবল বাকি জীবনেও ভোলার মতো নয়।

সাংবাদিক হিসেবে শেখ হাসিনার সঙ্গে একলা কথা বলার সৌভাগ্য আমার হয়েছে; প্রধানমন্ত্রী কিংবা বিরোধীদলীয় নেতা থাকাকালে। একলা কথা বলার সময় তাঁর আলাদা করে প্রশংসা করেছি, আবার নেতিবাচক দিকগুলোও তুলে ধরেছি। তিনি সব শুনতেন। আবার নেতিবাচক কোনো কাজের সমালোচনার জবাবও দিতেন তিনি। অনেক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করতাম। তিনি জবাব দিতেন সব প্রশ্নেরই। আমি অনেক সাক্ষাৎকারও নিয়েছি। তখন এত সাংবাদিক ছিলেন না। মৃণাল কান্তি দাস আর নজীব আহমেদের নেতৃত্বে সারা দেশ ঘোরার অভিজ্ঞতা হাতেগোনাদের মধ্যে আমিও একজন। লঞ্চের ডেকে বসে গল্প করতে করতে ভোলা যাওয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের রয়েছে। আবার ’৯১ সালের পর তিনি একদিন আমাদের নিয়ে গিয়েছিলেন বাসন্তীর বাড়িতে। তিনি বাসন্তী নামের প্রতিবন্ধী নারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আমাদের নিয়ে। বললেন, এই বাসন্তীকে নিয়ে সবাই রাজনীতি করে গেল। হিসাব করে দেখ জালের দাম শাড়ির দামের চেয়ে বেশি। কিন্তু তাকে জাল পরিয়ে ছবি প্রকাশ করে বঙ্গবন্ধু সরকারকে বিব্রত করা হয়েছে। তিনি বাসন্তীকে নগদ অর্থ সহায়তা করেন। ’৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে বাসন্তীকে তিনি বাড়ি করে দেন। এর আগে পরের সবাই বাসন্তীকে নিয়ে বক্তৃতা করেছে। কিন্তু তার জন্য শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য কেউ কিছু করেননি। এভাবে অনেক অভিজ্ঞতা আমাদের, যা স্বল্প পরিসরে লিখে শেষ করার মতো নয়। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর আরেকটা বড় দিক ছিল, খেতে বসার আগে তিনি জানতে চাইতেন, সফরসঙ্গী, সাংবাদিক ও নিরাপত্তারক্ষীরা খেয়েছেন কিনা। তারপর তিনি খেতে বসতেন। অনেক সময় আমাদেরও টেবিলে ডাকতেন। ধানমন্ডি ৩২, ২৯ মিন্টো রোডে আমাদের অনেকের সেই অভিজ্ঞতা রয়েছে।

শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে বিটের সাংবাদিকদের বাইরে অনেক সময় সিনিয়ররাও থাকতেন। কিন্তু শুধু বিটের সাংবাদিকরাই প্রশ্ন করতেন। আমরা শুধু প্রশ্ন করতাম, কোনো উপমা দিতাম না। তিনি সাবলীলভাবে মজা করে উত্তর দিতেন। ভোরের কাগজে থাকতে আমার একটা প্রশ্ন শুনে প্রথমে বললেন, তোমার সম্পাদক ঠিক আছে তো? হাসলেন, পুরো উত্তরও দিলেন। শেখ হাসিনার মতো মিডিয়াবান্ধব রাজনীতিবিদ বাংলাদেশে কম আছে। তারপরও তাঁর সংবাদ সম্মেলনে এখন সাংবাদিকদের নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অন্য দল নিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থকরাই গত কয়েক বছর থেকে সাংবাদিকদের গালাগাল করছে। তারা বলছে, তোমরা যা করছ আমরা তা করি না। তাহলে আমরা কেন এই কাজটা করছি? সব কিছু আমার কাছেও বিস্ময়কর। আসলে এই সংস্কৃতির শুরু ২০১০ সালের পর থেকে। অতীতে এই সংস্কৃতি ছিল না। এমনকি ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালেও না। ২০১৪ সালের পর এই সংস্কৃতির আরও ডালপালা বেড়েছে। অনেকে এ নিয়ে কারও কারোর সমালোচনা করছেন। আমি কারও সমালোচনা করছি না। এখানে অনুজদের কোনো দোষ নেই। এই সংস্কৃতি প্রবীণরা শিখিয়েছেন নবীনদের। যে শেখ হাসিনাকে আমি চিনি, জানি তিনি এই সংস্কৃতির মানুষ নন। তাঁর সামনে নেতিবাচক কথা বলা যায়। ভুল-ত্রুটি নিয়ে আলাপ করা যায়। তিনি শোনেন। আবার তাঁর মতও প্রকাশ করেন। ’৯৫ সালে শেখ হাসিনার ইমেজ বাড়ানোর জন্য নিউজ মিডিয়া নামে একটি নিউজ এজেন্সি আমি করেছিলাম। বিএনপি সমর্থক একটা এজেন্সি ছিল মিডিয়া সিন্ডিকেট। অগ্রজ সাংবাদিক শওকত মাহমুদ চালাতেন মিডিয়া সিন্ডিকেট। আমি নিউজ মিডিয়া। আমাকে প্রতিষ্ঠানটি করার জন্য অনুপ্রাণিত করেন আজকের প্রধানমন্ত্রী। ভোরের কাগজে থাকতেই প্রতিষ্ঠানটি শুরু করি। পরে ভোরের কাগজ ছেড়ে দিয়ে আরও ভালোভাবে করি। জনকণ্ঠ, ইত্তেফাক, ইনকিলাব, খবর, রূপালীসহ বেশির ভাগ কাগজে এই এজেন্সির খবর প্রকাশ হতো। তিনজন সম্পাদক আমাকে তখন যথেষ্ট উৎসাহিত করেছেন, তারা হলেন জনকণ্ঠের তোয়াব খান, ইনকিলাবের এ এম এম বাহাউদ্দীন ও দৈনিক খবরের মিজানুর রহমান মিজান। এর মাঝে ইনকিলাব তখন হঠাৎ করে বিএনপির বিপক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষে শক্ত অবস্থান নেয়। নিউজ মিডিয়াতে আমার সঙ্গে একদল সংবাদকর্মী কাজ করতেন। তারা এখন অনেকে ভালো অবস্থানে আছেন মিডিয়াতে। নিউজ মিডিয়ার উপমা আনলাম এই কারণে, আমরা আমাদের যুগে সংবাদ সম্মেলনে গেলে প্রশ্ন করতাম। শেখ হাসিনার প্রশংসাগুলো সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা করতেন না। তবে করতেন ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় অথবা পত্রিকায় লেখার মধ্য দিয়ে। প্রিয় অনুজদের প্রতি অনুরোধ, আমাদের কিছু মানুষ অকারণে সংবাদ সম্মেলনে বেশি কথা বলেছেন, বলছেন। সম্পাদক অথবা একই মর্যাদার কোনো কোনো সিনিয়র সাংবাদিক উপমা, বিশেস্নষণ, প্রশংসা বাক্য, ১০ মিনিটজুড়ে কবিতার মতো করে আওড়ানোর সূচনা করেন। যাতে প্রধানমন্ত্রী নিজেও তখন বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন। এ খারাপ প্রবণতা অনুকরণের দরকার নেই। সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন কর সবাই। জানতে চাও সব বিষয়ে। প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করতে হলে, অবশ্যই করবে। কিন্তু লাইভ সংবাদ সম্মেলনে নয়। প্রশংসা করতে হলে, লেখ, টকশোতে কথা বল। তা না পারলে মানুষের সামনে হেঁটে হেঁটে বল। ফেসবুকে লেখ। অনলাইনে লেখ। আরও অনেক সামাজিক গণমাধ্যম আছে। লাইভ সংবাদ সম্মেলনে চাটুকারিতা করে প্রধানমন্ত্রীকে বিব্রত ও একটি পেশাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার দরকার নেই। আর সিনিয়রদের বলছি, অনেক তো হলো পিস্নজ নির্লজ্জের মতো নবীনদের এমন কিছু শেখাবেন না, যা বিব্রত করছে সবাইকে। একই সঙ্গে আগামীর জন্য খারাপ একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকছে।

হোয়াইট হাউস, স্ট্রেট ডিপার্টমেন্ট, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ব্রিফিংগুলোতে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা আমার রয়েছে। ২০১২ সালে দিলিস্নতে ভারত মহাসাগর তীরের দেশগুলোর সাংবাদিকদের পাঁচ দিনের এক সম্মেলনে আমি অংশ নিয়েছিলাম। ঠিক তখনই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদল হয়ে যোগ দিলেন সালমান খুরশিদ। মন্ত্রী হিসেবে প্রথম তিনি এলেন আমাদের অনুষ্ঠানে। কথা ছিল আগের মন্ত্রীর আসার। কিন্তু এর মাঝে মন্ত্রী বদল। তাই নতুন মন্ত্রীর মিডিয়া অভিষেক আমাদের সঙ্গে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখানেই তার সঙ্গে ভারতীয় কূটনৈতিক রিপোর্টারদের প্রথম বৈঠকের স্থান ঠিক করে। আমাদের জানানো হলো, মিডিয়ার সঙ্গে তিনি দুবার বসবেন। প্রথমবার শুধু ভারতীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে, পরের বার বিদেশি সাংবাদিকদের। আমরা দুটি অনুষ্ঠানেই থাকতে পারব। তবে ভারতীয় সাংবাদিকদের অনুষ্ঠানে প্রশ্ন করতে পারব না। আমাদের সঙ্গে কথা বলার সময় ভারতীয় সাংবাদিকরা থাকবেন না। আমরা আমাদের মতো কথা বলতে পারব। প্রশ্ন করতে পারব। সংবাদ সম্মেলন পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র কূটনীতিক আকবর উদ্দিন। তার স্মার্টভাবে চলার দিকটা মিডিয়ার কাছে সবসময় প্রশংসার। অনুষ্ঠানের শুরুতেই একজন ভারতীয় সাংবাদিক সালমান খুরশিদকে প্রশ্ন করলেন, তুমি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ছিলে। কূটনীতির কিছুই জান না। শুধু রাহুল গান্ধীকে ম্যানেজ করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রী হলে, চালাবে কীভাবে এখন? আমি ভাবলাম, এই প্রশ্নের পর তিনি ক্ষুব্ধ হবেন আমাদের দেশের মহারথীদের মতো। অনুষ্ঠানও ছেড়ে চলে যেতে পারেন। না কিছুই হলো না। সালমান খুরশিদ হাসিমুখ নিয়ে বললেন, আমি একটি রাজনৈতিক সরকারের মন্ত্রী। আমার সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক একটা নীতিমালা রয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে অনেক দক্ষ কর্মকর্তা রয়েছেন। রাজনৈতিক সরকারের মন্ত্রীর কাজ হলো তার দল ও সরকারের নীতিমালাগুলো কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত বাস্তবায়ন। আমি আশা করছি, তা করার ক্ষমতা আমার আছে। ভুল হলে তোমরা তখন জানাবে।

ভারতীয় মন্ত্রীর সামনে তার দেশের সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করতে পারেন শুধু তা নয়, আমাদের দেশের অনেক নবীন সাংবাদিকও চমৎকার প্রশ্ন করেন। মন্ত্রী শাজাহান খানের হাসিমুখের সংবাদ সম্মেলনের সময় অনেক নবীন সাংবাদিকের প্রশ্ন আমি ইন্টারনেট ও লাইভে দেখেছি। তারাও প্রশ্নে কোনো ছাড় দেননি। কঠিনভাবে তাকে ধরেছিলেন, যা সবাই সামাজিক গণমাধ্যমে দেখেছে। শাজাহান খানের সেই আচরণে ছাত্ররা রাজপথে নেমে আসে। সেদিন বিশেষ করে একটি মেয়ে (নাম জানি না), বার বার কঠোরভাবে প্রশ্ন করে মন্ত্রীর কাছ থেকে উত্তর নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। আমি এই নতুন প্রজন্মকে নিয়ে অনেক আশাবাদী। আমরা যা পারিনি, যা পারছি না আগামীতে আমাদের অনেক বন্ধু সহকর্মী তা করছে, করবে। তারা আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে পেশাদারিত্বকে। সবারই মনে রাখা দরকার পেশাদারিত্বের একটা অহংকার থাকে। এই অহংকার ফিরিয়ে আনতে হবে। বিশ্বব্যাপী মিডিয়ার চ্যালেঞ্জ চলছে। আমরা এখানে পিছিয়ে থাকতে পারি না।

কিছুদিন আগে দুই দিনের জন্য লন্ডন গিয়েছিলাম। প্রিন্ট মিডিয়ার এই চ্যালেঞ্জের যুগে নিউইয়র্কের পর এবার বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রকাশ হবে লন্ডন থেকে। সব প্রস্তুতির কাজ সম্পন্ন করতেই আমার সফর। এরপর দুই দিনের জন্য নিউইয়র্কও গিয়েছিলাম। এই সফরকালে অনেক প্রবাসীর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল। তেমনি অনেক বিদেশির সঙ্গেও কথা হয়েছে। অনেকে আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন শহিদুল আলমকে নিয়ে। একজন নিউইয়র্ক টাইমসের কপি দেখিয়ে বললেন, কী হচ্ছে তোমার দেশে? ব্রিটেনের কাগজগুলোতেও একই অবস্থা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছাত্রদের আন্দোলন নিয়েও অনেক খবর প্রকাশিত হয়েছে। এখনো হচ্ছে। নেপালে শহিদুল আলমের পোস্টার লাগানো হচ্ছে। বাংলাদেশের মিডিয়া ও সার্বিক অবস্থা নিয়ে এমন নেতিবাচক সমালোচনার ধারাবাহিকতা অতীতে ছিল না। শহিদুল আলম আল জাজিরাতে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। তার চেয়েও কঠোর সমালোচনা সরকারের হচ্ছে। শহিদুলকে আটক না করলে মানুষ জানতেও পারত না অথবা জানলেও এখনকার মতো এত কিছু হতো না। এত নোবেল জয়ী অথবা বিভিন্ন দেশের লেখক, পত্রিকা ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশ সরকারের বিপক্ষে সমালোচনা করত না। তাই কোনো একটি কাজ করার আগে সব কিছু নিয়ে ভাবতে হবে। পাওয়ারফুল সংশিস্নষ্ট অনেকের অহমিকা ত্যাগ করতে হবে। কাজ দিয়ে মন জয় করতে হবে, দেশি শুধু নয়, বিদেশি মিডিয়ারও। দেশীয় মিডিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি সরকারের প্রতি ইতিবাচক। ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। অন্যদের ওপর দোষ চাপিয়ে কী লাভ? বরং হিসাব-নিকাশ হওয়া ভালো যার যা দায়িত্ব তা কে কতটা পালন করলেন? সার্বিক জনস্রোতের বিপক্ষে দীর্ঘমেয়াদি লড়াইয়ের কী দরকার? আওয়ামী লীগ তো জনগণেরই দল।

লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।