মানিকগঞ্জে বিএডিসির ভেজাল বীজে বোরোর ক্ষতি

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) ভেজাল বীজে বিপাকে পড়েছেন মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার প্রায় ৩ শত বোরো চাষী। এই মৌসুমে একই জমিতে দেখা গেছে পাঁচ প্রকারের ধান। এতে কাঙ্খিত ফলন না পাওয়ার আশঙ্কায় হতাশ এই এলাকার চাষীরা।

চলতি মৌসুমে মানিকগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ৪৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। এর মধ্যে প্রায় ৯০ ভাগ জমিতেই কৃষকরা বুনেছেন বিআর-২৯ জাতের ধান। ইতিমধ্যে এসব খেতে ফলন আসতে শুরু করেছে।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বাইচিল, পোড়রা, নারাঙ্গাই, বনগ্রাম মৌজার প্রায় তিন হাজার বিঘা জমিতে পাঁচ প্রকারের ধানের ফলন হয়েছে। ভেজাল বীজের কারণেই এমন সমস্যা হয়েছে বলে অভিযোগ কৃষকদের। বীজে সমস্যা থাকায় এবছর ধানের ফলন কম হবে, সেই সাথে আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখেও পড়বেন তারা।

উচুটিয়া গ্রামের বোরো চাষী আব্দুল মোতিন জানিয়েছেন, এবছর তিনি তিন বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন। মানিকগঞ্জ বিএডিসি অফিস থেকে তিনি বিআর-২৯ জাতের বীজ কিনে ধানের আবাদ করেছিলেন। কিন্তু তার জমিতে ওই বীজে ফলন হয়েছে পাঁচ প্রকারের ধান। একই সাথে রোপন করা জমিতে বিভিন্ন প্রকারের ধানের ফলন আসায় তিনি হতাশ হয়ে পড়েছেন।

একই গ্রামের চাষী বিল্লাল হোসেন জানান, বীজের ভেজাল থাকার কারণে এবছর আমাদের উৎপাদন ঘাটতি দেখা দিবে। গত বছর যে জমিতে ২৫ মন ধান পেয়েছি এবছর সেখান থেকে ১০ মন ধান পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাইচিল গ্রামের আবু বকর সিদ্দিক জানান, বিএডিসির ভেজাল বীজে সদর উপজেলার প্রায় ৩‘শ কৃষকের ৩ হাজার বিঘা জমির ধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

কৃষক বাবু মিয়া জানান, বিষয়টি বিএডিসিকে জানানো হলেও তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

এদিকে কৃষকের মাঠ পরিদর্শন করে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কাজী মিনহাজ উদ্দিন আহম্মেদ জানান, বিএডিসি একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। তবে, তাদের বীজে মিশ্রণ থাকায় কৃষকরা কিছুটা হলেও ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।

তবে, বিএডিসির বীজে কোন সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন বিএডিসির কর্মকর্তা আসিফ ইকবাল ছাকী।

সব খবর/ মানিকগঞ্জ/ ৮ মে ২০১৮/ লিটন