পুরো দরজা খোলাই ছিল, ক্যামেরা ট্রায়াল হলো কীভাবে: প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

ঢাকা : বিএনপির চেয়ারপাসন খালেদা জিয়ার বিচার ক্যামেরা ট্রায়ালে হচ্ছে না দাবি করে প্রাধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এটা ক্যামেরা ট্রায়াল নয়। পুরো দরজা খোলাই ছিল। এটা ক্যামেরা ট্রায়াল হলো কীভাবে?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ক্যামেরা ট্রায়ালে কোথায় বিচার হচ্ছে? দরজা তো খোলাই ছিল। তার (খালেদা জিয়ার) আইনজীবীরা ভেতরে যায় নাই। তাদের (বিএনপির) কোনও কোনও আইনজীবী গেটে গিয়ে বসেছিল। কিন্তু কোর্টের রুমে ঢুকে নাই। তারা আশপাশে বসেছিল। অবাধে সবাই যাতায়াত করতে পেরেছে। এটা কীভাবে ক্যামেরা ট্রায়াল হয়।’

বৃহস্পতিবার ৯৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা।

জেলখানায় আদালত বসানোর প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তার নড়াচড়া করতে অসুবিধা। সে ভেতরে থাকে সেখান থেকে জেলখানায় আসবে। তাই ওখানে কোর্ট বসবে। কোর্ট বসেছে, খালেদা জিয়া হাজির হয়েছে। তার আইনজীবীরা যায়নি। মাত্র একজন আইনজীবী ছিল। তার আইনজীবী প্যানেল যায়নি। এই যে আইনজীবীরা গেলো না, এখানে আমরা কী মনে করবো? যে প্যানেল জানে খালেদা জিয়া দোষী, তাকে ডিফেন্স করে খুব বেশি লাভ হবে না, তাই কোনও ছুঁতো ধরে তারা বোধহয় তাকে আর ডিফেন্স করতে যায়নি।

তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ এটাই ধরে নেবে। না হলে যেখানে কোর্ট বসবে সেখানেই আইনজীবী যাবে। যেখানে জজ সাহেব বসবে, মামলা পরিচালনা করতে হলে আইনজীবীরা সেখানে যাবে— এটাই তাদের কাজ। তারা গেলো না, খালেদা জিয়াকে বয়কট করলো কেন?’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আইনজীবীরা জানে, এই মামলায় তাকে নির্দোষ প্রমাণ করার মতো কোনও তথ্য তাদের কাছে নাই, তারা নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবে না। মূলত তিনি এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।’

জেলের ভেতরে আদালত বসানো নিয়ে বিএনপির নেতারা বলেছেন ‘এটা অসাংবিধানিক’। এর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্ভাগ্য আমাদের, যে দলের জন্ম হয়েছে অসাংবিধানিক উপায়ে। সংবিধান লংঘন করে দল গঠনকারী যারা, তাদের কাছে আমাদের সংবিধান শিখতে হবে। এখানে অসাংবিধানিকটা কী হলো? তার মানে জিয়া অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতায় এসেছিল বলে সে জেলগেটে বিচার করতে পারবে, বাকিরা পারবে না। তারা যদি সেটা বোঝাতে চায় তো বলুক।’

তিনি বলেন, ‘আদালতে জজ সাহেব বসে আছে। আসামি হাজির। তার আইনজীবীরা যায়নি। এটা হতে পারে, তারা বয়কট করেছে বলে যায়নি। কোনটা সত্য এটা এখন বিচার্য বিষয়।’