পদত্যাগকারী হেফাজত নেতা কাসেমীর দায় স্বীকার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজত ইসলামের সহিংসতায় জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন হেফাজতের পদত্যাগকারী নেতা মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী।

রোববার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ হাসাইন ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মো. রইছ উদ্দিন ও জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি লোকমান হোসেন জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হেফাজতে ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী। মার্চের শেষ দিকে জেলার বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডবের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গত ৪ মে বিকালে পৌর এলাকার ভাদুঘর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, কাসেমী তাণ্ডবে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। ২০১৬ সালেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডবের সঙ্গে কাসেমী প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন।

জানা যায়, ২৩ এপ্রিল দল থেকে পদত্যাগ করেন মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী। পদত্যাগের কারণ হিসেবে তিনি দলের বিভিন্ন প্রোগ্রামে তাকে না ডাকা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তাণ্ডবের কথা উল্লেখ করেন। তবে গ্রেফতার এড়াতেই মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী দল থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদ এবং ঢাকা ও চট্টগ্রামে মাদ্রাসাছাত্রদের ওপর পুলিশি অ্যাকশনের খবরে ২৬ থেকে ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় মাদ্রাসাছাত্র ও হেফাজত কর্মীরা। এ ঘটনায় ৫৬টি মামলা হয়। এসব মামলায় ৪১৪ জনের নাম উল্লেখসহ ৩০ থেকে ৩৫ হাজার অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে।
চট্টলানিউজ/এএ