ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের হামলার শিকার ব্যবসায়ী হালিম

কুমিল্লা প্রতিনিধি : কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার জিংলাতলী দারুল ফালাহ মাদ্রাসা ও এতিমখানার বার্ষিক মাহফিলে মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থার সমালোচনা করার কারণে স্থানীয় সমাজসেবক মোহাম্মদ আব্দুল হালিমের উপর বর্বরোচিত হামলার অভিযোগ উঠেছে।

আজ আব্দুল হালিম দাউদকান্দি প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত তার উপর কমপক্ষে ৬ বার হামলা চালিয়েছে জিংলাতলী দারুল ফালাহ মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক, সভাপতি ও স্থানীয় হেফাজতে ইসলামের নেতৃবৃন্দ।

তিনি একপর্যায়ে আবেগপ্রবণ হয়ে বলেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তাকে প্রায় মেরে ফেলেছিল সন্ত্রাসীরা। ওই হামলায় তার মাথা ফেটে যায়, হাতে পায়েও মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হয়। তিনি ১৪ দিন হসপিটালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে থানায় জিডিও করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে উল্টো আমার উপর দোষ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং আমাকে হুমকি দিয়ে বলেছে যে আমি যেন আর এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করি।

জানা যায়, মোহাম্মদ আব্দুল হালিম পেশায় একজন ব্যবসায়ী। সে সবসময় গরীব মানুষের সেবা করেন ও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করে। সে কারণে হালিম সমাজে বেশ জনপ্রিয়।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিলে সে মাদ্রাসার আয়ব্যয় ও শিক্ষাব্যবস্থার নানা অনিয়মের সমালোচনা করেন। অনুদানের টাকা কোথায় খরচ হয়, তার হিসাব জানতে চান। যার ফলে মাদ্রাসার আয় ও শিক্ষার উপর বিরূপ প্রভাব পরে।

তিনি সমালোচনা করে আরো বলেন, এই মাদ্রাসায় যদি ভাল ও আধুনিক শিক্ষা দেওয়া হয়, তাহলে কেন এ মাদ্রাসার শিক্ষক, সভাপতি ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের সন্তানেরা এখানে পড়া লেখা করেন না? কেন তারা তাদের সন্তানদের ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পাঠায়?
তিনি মাদ্রাসার শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।

এ বিষয়ে দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ত আছেন পরে কথা বলবে জানিয়ে ফোন কেটে দেন। পরে ফোন দিলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।

এদিকে মাদ্রাসার সভাপতি মোঃ শহিদ উল্লাহ এ বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, যে হালিম একজন ধর্ম বিরোধী মানুষ, তাকে নিয়ে আমি কোন কথা বলব না। তিনি হালিমের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেন।