আইএস-বধূ শামীমার সন্তানের মৃত্যু, সমালোচনার মুখে ব্রিটিশ মন্ত্রী

যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে পালিয়ে সিরিয়া চলে যাওয়া ইসলামিক স্টেটের জিহাদি-বধূ শামীমা বেগমের শিশু সন্তানটি সিরিয়ার শরণার্থী শিবিরে মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে সমালোচনার মুখে পড়েছেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ।

ইসলামিক স্টেট বাহিনীতে যোগ দিতে শামীমা ১৫ বছর বয়সে লন্ডন ছেড়ে সিরিয়ায় যান। এই টিনএজার যখন ফিরে আসার ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেন তখন জাভিদ তার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল হয়ে যাওয়ার কথা জানান।

শামীমার পরিবারের ঘনিষ্ঠ একজন বলেছেন, ব্রিটেন শিশুটির নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। একই সময়ে লেবার পার্টি বলছে, শিশুটির মৃত্যু ছিল একটি দাম্ভিক এবং অমানবিক সিদ্ধান্তের ফলাফল। ব্রিটিশ সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, যেকোনো শিশুর মৃত্যুই দুঃখজনক।

ওই মুখপাত্র বলেন, সরকার অব্যাহতভাবে সিরিয়া ভ্রমণের ব্যাপারে সতর্ক করে এসেছে এবং লোকজনকে সন্ত্রাসবাদ এবং বিপদজনক যুদ্ধক্ষেত্রে যাওয়া থেকেই বিরত রাখতে যা কিছু করা সম্ভব সেসব আমরা চালিয়ে যাবো। ২০১৫ সালে স্কুলের আরও দুই বান্ধবীসহ যুক্তরাজ্য ছাড়েন শামীমা।

এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে যখন ইসলামিক স্টেটের স্বঘোষিত খেলাফত বিলুপ্তপ্রায়,তখন সিরিয়ার বাঘুজে এক শরণার্থী শিবিরে তাকে খুঁজে পান দ্য টাইমস পত্রিকার এক সাংবাদিক।

তখন নয় মাসে গর্ভাবস্থায় ছিলেন শামীমা বেগম এবং তিনি তখন জানিয়েছিলেন যে, সে তার স্বামীর (একজন ডাচ আইএস যোদ্ধা) সাথে আইএস এর সর্বশেষ ঘাঁটিতে বসবাস করতো। এর আগে আরও দুটি শিশু সন্তানকে হারায় সে, যেজন্য শামীমা বেগম এখানকার প্রতিকূল পরিবেশকে দায়ী করেন। শামীমা বেগম ব্রিটেনে ফিরে আসতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ব্রিটিশ সরকার তার নাগরিকত্ব বাতিল করে। শামীমা বেগম এর আগে বলেছিলেন, তিনি সিরিয়ায় যাবার জন্য এবং অঅইএসে যোগ দেওয়ার জন্য অনুতপ্ত নন, তবে আইএস খিলাফত ধ্বংস প্রায়।

তার যে শিশুটি বৃহস্পতিবার মারা গেল সেই যারাহ জন্ম নেয়ার পরপরই বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, তিনি ব্রিটেন ফিরে যেতে চান এবং তার সন্তানকে যুক্তরাজ্যে বড় করতে চান। মেডিকেল সার্টিফিকেট অনুসারে নিউমোনিয়ার কারণে মারা গেছে জারাহ। তার বয়স হয়েছিল তিন সপ্তাহরেও কম । কনজারভেটিভ এমপি এবং সাবেক আইন মন্ত্রী ফিলিপ লি এই মর্মান্তিক ঘটনার পর সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, তাদের নৈতিক দায়-দায়িত্বের প্রতিফলন দেখাতে। সূত্র: বিবিসি বাংলা