সিংগাইর সংবাদদাতা : সিংগাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের সোনাট্যাংরা গ্রামের এসএমবি ইট ভাটার মালিক হাশেম মোল্লা (৪৫) হত্যার ঘটনায় ঘাতক আনোয়ার শিকদারসহ ১৫ জনের নামে থানায় মামলা হয়েছে।
শনিবার নিহতের স্ত্রী শাবানা বেগম বাদি হয়ে েএই মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলনা নং-৫৮।
পুলিশ এঘটনায় মামলার এজাহারভুক্ত ৩ আসামি মুরাদ (১৮), রোহান (১৯) ও রফিক শিকদার (৪৫)-কে আটক করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে।
জানা গেছে, গত শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে ইটভাটা এলাকায় মাটির ট্রাক চলাচল নিয়ে হাশেম ও আনোয়ারের সাথে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে আনোয়ার উত্তেজিত হয়ে হাশেমকে ছুরিকাঘাত করে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে হাশেমের মৃত্যু হয়। এঘটনার পর হাশেম ও অানোয়ারের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় গ্রুপেরই অন্তত ১০ জন আহত হয়।
এঘটনার পর ঘাতক আনোয়ার শিকদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের তথ্য বেড়িয়ে এসেছে। আনোয়ার নিজের কাছে অবৈধ রিভালবার রেখে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে বড় বড় অপরাধ কর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে পরদিন তাকে এলাকা ছাড়া হতে হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বয়স্ক মুরুব্বি বলেন, বছর তিনেক আগে সাবেক মেম্বার মোকসেদ এর ছেলে বাচ্চু (৪০)-কে রিভালবার দিয়ে পায়ে গুলি করে আনোয়ার শিকদার।
নিহতের চাচা শুকুর আলী জানান, কয়েক মাস আগে নবিনুর ও রাজু নামের দুই যুবককে রাস্তায় হোন্ডা থামিয়ে প্রকাশ্যে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করতে উদ্যত হয়। লোকজনের উপস্থিতি বেড়ে গেলে নবিনুরের মাথায় পিস্তল দিয়ে আঘাত করে চলে যায়। পরে নিজ ভাতিজাকে প্রকাশ্যে পিস্তল ঠেকিয়েছে জানতে পেরে রাজুর চাচা জব্বর মিয়া হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। থানা ও আদালত মিলিয়ে প্রায় ডজন খানি মামলা রয়েছে এই কুখ্যাত শিকদারের বিরুদ্ধে। সোনাট্যাংরা সহজ-সরল গ্রামের লোকদের আতঙ্কের নাম এখন আনোয়ার শিকদার ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিংগাইর থানাধীন বাঘুলি-শান্তিপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, অভিযুক্ত ৩ জনকে আটক করে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মূল আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
সব খবর/ মানিকগঞ্জ/ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/ লিটন