শামসুন্নাহার কমলের ১০ম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত

স্টাফ রিপোর্টার : মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দৈনিক সবুজ গ্রাম পত্রিকার সম্পাদক-প্রকাশক এডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীনের স্ত্রী শামসুৃন্নাহার কমলের ১০ম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়েছে।

গত বুধবার শহরের গালর্স স্কুল রোডে কমল নিবাসে বাদ যোহর দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে মৃত্যু বার্ষিকী পালন করা হয়।

শামসুন্নাহার কমল ১৯৫৩ সালে জেলার হরিরামপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে এক সম্ভান্ত মুৃসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আহসান উল্লাহ ও মা নূর জাহান বেগম। তিনি মানিকগঞ্জ সরকারী বালিকা বিদ্যালয় থেকে মেট্রিক ও সরকারী দেবেন্দ্র কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করে ১৯৭৭ সালে ঢাকার বিখ্যাত কে এল জুবলি স্কুল এন্ড কলেজে শিক্ষকতা করেন। ২০০৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তিনি মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যুর আগ পযর্ন্ত তিনি শিক্ষকতা পেশাতেই নিয়োজিত ছিলেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি টেবিল টেনিস, কেরামসহ বিভিন্ন খেলায় পারদর্শী ছিলেন।

এক ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে তিনি ইন্তেকাল করেন। সবার বড় মেয়ে মৌসুমী আক্তার পেশায় শিক্ষিকা। তিনি সরকারী বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা আর স্বামী এ কে এম ইকবাল হোসেন একজন প্রকৌশলী। তাদের এক ছেলে মোবাশ্বের ইকবাল মাহির ও এক মেয়ে ইকরা তাসনিম ইমতি। ছোট মেয়ে নাজমুন নাহার মুনমুন পেশায় ডাক্তার এবং স্বামী মোঃ হাফিজুর রহমান ও ডাক্তার । তাদের একমাত্র ছেলে মোঃ আল হামিউল ইসলাম। ছেলে শাহ নেওয়াজ মহিউদ্দীন শোভন এল এল বি শেষ বর্ষের ছাত্র।

গোলাম মহীউদ্দিন বলেন, তার স্ত্রী ছিলেন একজন মায়াময়ী মহিলা। তার কোন চাহিদা ছিল না। একজন মানুষ একই সাথে একজন আর্দশ স্ত্রী, স্নেহময়ী মা, সুপ্রতিবেশী, নীতিবান শিক্ষিকাসহ সব গুনই ছিল তার মধ্যে। জীবন সঙ্গিনী হিসেবে সারা জীবন সে আমার পাশে থেকেছে ছায়ার মত। হাজারো কষ্টেও সে কখন বিরক্তি প্রকাশ করেনি। অনেক সময় আমি ঘরের খবর না জেনেও নেতা-কর্মীদের নিয়ে আসতাম। সে হাসি মুখে যে ভাবেই হোক তাদের আপ্যায়ন করতো। আমি রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারনে ছেলে-মেয়েদের লেখা-পড়ার ঠিকমত খরব নিতে পারতাম না কিন্তুু সে সবই ঠিকমত চালাতো। তার শিক্ষকতার বেতন দিয়ে সন্তানদের লেখা-পড়ার খরচ চালাতো। শুধু তাই নয়, আমি যতবার নির্বাচন করেছি সে সব উজার করে আমার হাতে তুলে নিয়েছে।

সে এ দুনিয়ায় থাাকা অবস্থায় আমি তার জন্যে তেমন কিছুই করতে পারি নাই। তবে একজন শিক্ষিকার সারা জীবনের প্রচেষ্টা ছিল মানুষকে শিক্ষা দেয়া, জাতিকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা । আমি তার সেই প্রত্যাশাকে পূরণ করার জন্যে হরিরামপুরে প্রতিষ্ঠা করেছি গোলাম মহীউদ্দীন কমল আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়। সে ছিল একজন ক্রীড়াবিদ তাই তার স্মৃতিকে স্মরন করে এবার শামসুন্নাহার ভলিবল টুর্নামেন্ট-২০১৮ আয়োজন করা হয়েছে।

সব খবর/ মানিকগঞ্জ/ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/ লিটন