স্টাফ রিপোর্টার : মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে একই স্থানে যাত্রী ছাউনি ও দোকানঘর নির্মান করা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে যুবলীগ নেতার হামলায় দুই ইউপি সদস্য আহত হয়েছেন।
শনিবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার মান্দারতা বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, চকমিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা সায়েদুর রহমান ও ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য শরিফুর ইসলাম।
আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
চকমিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জানান, ঘিওর-দৌলতপুর সড়কের মান্দারতা বাজারে একটি যাত্রী ছাউনি নির্মানের জন্য পরিষদ সিদ্ধান্ত নেয়। উপজেলা পরিষদও এই প্রকল্প অনুমোদন করে। এলজিএসপি প্রকল্পের আওতায় প্রায় আড়াই লাখ টাকা ব্যয়ে যাত্রী ছাউনিটি নির্মাণ করা হবে। শনিবার যাত্রী ছাউনি নির্মান কাজ শুরু করার জন্য ইউপি সদস্য সায়েদুর ও শরিফুর শ্রমিকদের নিয়ে মান্দারতা বাজারে যান। এসময় উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, তার ছেলে শুভ, সামসুদ্দিন চুন্নু সহ তিনচার জন এসে কাজে বাধা দেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আজাদ তার লোকজন নিয়ে দুই ইউপি সদস্যের ওপর হামলা চালান। এতে দুজনেই গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে দুজনকে দৌলতপুর হাসপাতালে ভর্তি করে।
চেয়ারম্যান আরো জানান, যাত্রী ছাউনিটি নির্মাণ করা হচ্ছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমিতে। তাদের কাছ থেকে অনুমতি নেয়া হয়েছে। কিন্তু আজাদ ওই জমিতে অবৈধভাবে দোকনঘর নির্মাণ করে ভাড়া দেয়ার পায়তারা করছেন। বরাদ্দ দেয়ার কথা বলে কয়েকজনের কাছ থেকে সে অবৈধ ভাবে অগ্রিম টাকা নিয়েছেন। যে কারনে সে যাত্রী ছাউনি নির্মাণে বাধা দিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে আবুল কালাম আজাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যান মিলে যাত্রী ছাউনির জন্য যায়গা নির্ধারন করে দেন। কিন্তু মেম্বাররা অন্য যায়গায় যাত্রী ছাউনির কাজ শুরু করে। এতে তিনি বাধা দিলে মেম্বাররা তাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করেন। তিনি ঘটনাস্থল থেকে সরে আসেন। ঘটনা শুনে তার ছেলে শুভ এসে মেম্বারদের আচরণের প্রতিবাদ করে। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
তিনি আরো বলেন, অবৈধভাবে দোকান বরাদ্ধের সাথে তিনি জড়িত নন। পাল্টা অভিযোগ করে তিনি বলেন অবৈধভাবে দোকান বরাদ্দ দেয়ার উদ্দেশ্যে মেম্বাররা নির্ধারিত জমিতে যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করছেন না।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা আহত দুই ইউপি সদস্যকে দেখতে হাসপাতালে যান। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন সরকারী কাজে বাধা দিয়ে একটি অপরাধ করা হয়েছে। এছাড়াও সন্মানিত দুজন ইউপি সদস্যকে হামলা করে আহত করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন প্রবীন মুক্তিযোদ্ধা। বিষয়টি দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুনীল কুমার কর্মকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সব খবর/ মানিকগঞ্জ/ ৩ মার্চ ২০১৮/ লিটন