পার্থ হাসান, পাবনা : পাবনার বেড়া উপজেলা সদরের তেঘরী মহল্লায় ধর্ষণের শিকার হয়েছে তৃতীয় শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী। গুরুতর অবস্থায় শিশুটিকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক আমিনুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্বজনরা জানান, বেড়া উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের আব্দুল কাদের ফকিরের ছেলে আমিনুল ইসলাম বিয়ে করে ঘরজামাই থাকে বেড়া পৌর সদরের তেঘরী মহল্লার কাজেম ফকিরের বাড়িতে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একই মহল্লার পাশের বাড়ি থেকে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী শিশু (১০) মসজিদ থেকে তবারক নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় আমিরুল তাকে ডেকে বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। সন্ধ্যায় শিশুটি বাড়ি ফিরলে শিশুটির পায়ের বিভিন্ন স্থানে রক্ত দেখে কি হয়েছে জানতে চাইলে মেয়েটি তার মাকে ঘটনা খুলে বলে।
এসময় স্বজনেরা শিশুটিকে প্রথমে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় রাতেই তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাতে ধর্ষক আমিনুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনায় শিশুটির পিতা বাদি হয়ে বুধবার সকালে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত ধর্ষকের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা। আর চিকিৎসক জানিয়েছে, শিশুটির অপারেশন করা হয়েছে। বর্তমানে সে আশঙ্কামুক্ত।
পাবনার পুলিশ সুপার জিহাদুল করির বলেন, ধর্ষনের খবর পাওয়ার সাথে সাথে শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। রাতেই স্থানীয়দের সহযোগিতায় ধর্ষককে আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায়না, শিশুটির নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ আসামীকে আইনের আওতায় এনে কঠিন সাজার ব্যবস্থা করা হবে।
সব খবর/ পাবনা/ ২ মে ২০১৮/ লিটন