আশ্রয়কেন্দ্রে সাড়ে ১২ লাখ মানুষ

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র তাণ্ডব থেকে রক্ষায় উপকূলীয় জেলাগুলোর প্রায় সাড়ে ১২ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র সর্বশেষ অবস্থান ও প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ কামাল।

তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২ লাখ ৪০ হাজার ৭৯৫ জনকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আমাদের আশ্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা হচ্ছে ৪ হাজার ৭১টি। তবে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই ১৫ থেকে ১৮ লাখ মানুষকে আমরা আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসতে পারবো।’

সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, প্রধান তথ্য অফিসার জয়নাল আবেদিন, আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্যোগ পরিস্থিতির জন্য যে প্রস্তুতি আছে, আশা করি আমরা সফলভাবে মোকাবেলা করতে পারবো। কোনো প্রাণহানি হবে না বলে আমাদের প্রত্যাশা।’

এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে সারাদেশের আকাশ মেঘলা হয়ে গেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার মধ্যরাত নাগাদ বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। তবে এটি আগের তুলনায় অনেকটা দুর্বল হয়ে আঘাত হানবে।

দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ২০০ কিলোমিটার বেগে ভারতের ওড়িশায় আছড়ে পড়ে ফণী। ভারতের আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, এরপর ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে দক্ষিণবঙ্গের ওপর দিয়ে বাংলাদেশের দিকে চলে যেতে পারে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজারে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর।

সামছুদ্দিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর থেকে প্রবল ঝড়ো হাওয়া হবে। শুক্রবার সারারাত এবং শনিবার সারাদিন দুর্যোগ পূর্ণ আবহাওয়া থাকতে পারে। বাংলাদেশে যখন আঘাত হানবে তখন বাতাসের গতিবেগ ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার থাকবে।