৭ বছরেও শেষ হয়নি সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত

আজ ১১ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের সাত বছর পার হচ্ছে। স্বজন-সহকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে বিচারের আশায় বুক বাঁধলেও চাঞ্চল্যকর এই জোড়া খুনের তদন্তও শেষ হয়নি। ক্ষোভ-হতাশা নিয়েই দিনটি পালন করবেন ওই সাংবাদিক দম্পতির স্বজন ও সহকর্মীরা। বিগত বছরগুলোর মতো এবারও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছে। আজ সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিআরইউ কার্যালয়ের সামনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ হবে।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া ফ্ল্যাট থেকে সাগর-রুনির ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সাগর ছিলেন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক। রুনি ছিলেন এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক। নৃশংস ওই হত্যাকাণ্ডের সময় বাসায় ছিল সাংবাদিক দম্পতির একমাত্র সন্তান মিহির সরোয়ার মেঘ। ওই সময়ে তার বয়স ছিল সাড়ে চার বছর।

সাংবাদিক দম্পতি খুন হওয়ার পর দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। বিচার চেয়ে আন্দোলনে নামে সাংবাদিক সংগঠনগুলো। হত্যারহস্য উদ্ঘাটন, খুনি ধরা থেকে বিচার-বিভিন্ন সময়ে আশার বাণী শুনলেও দীর্ঘ সময়ে শুধু তদন্ত সংস্থা আর তদন্ত কর্মকর্তাই বদল হয়েছে। রহস্য আর উদ্ঘাটন হচ্ছে না। থানা পুলিশ, ডিবি হয়ে আদালতের নির্দেশে র‌্যাব এখন মামলাটির তদন্ত করছে। এ পর্যন্ত ৬১ বার আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন বদল হয়েছে। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ধার্য রয়েছে।

তদন্ত সংশ্নিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, নির্ধারিত দিনেও তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া সম্ভব হবে না। তবে তদন্ত কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে আদালতকে অবহিত করা হবে।