স্টাফ রিপোর্টার : চার দিন পরেই ছিল শশী-শাওন দম্পতির বিবাহ বার্ষিকী। তাই ১৭ মার্চের দিনটি স্মরনীয় করে রাখতে ইউএস-বাংলা বিমানে চেপে নেপাল যাচ্ছিলেন মানিকগেঞ্জের মেয়ে তাহিরা তানভিন শশী ও তার স্বামী ডা. রেজায়ানুল হক শাওন। কিন্তু মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনা কেড়ে নিল শশী-শাওন জুটির বিবাহবার্ষিকী উদযাপনের সেই স্বপ্ন। দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন শশী। আর গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন শাওন।
নেপালে বিমান বিধ্বস্ত দুর্ঘটনায় নিহত শশীর বাড়ি মানিকগঞ্জ শহরের লঞ্চঘাট এলাকায়। সদ্য এলএলবি পাস করা শশী বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ছিলেন।
শশীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. রেজা হাসানের মেয়ে শশীর সঙ্গে ডা. শাওনের বিয়ে হয় সাত বছর আগে। তবে তাদের কোনো সন্তান নেই। স্বামী রেজায়ানুল হক শাওন রংপুর মেডিকেল কলেজে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত।
মা-বাবা ও স্বামীসহ শনিবার ঢাকায় খালাতো বোনের বিয়ের দাওয়াত খান শশী। আগামী শনিবার তাদের বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করতেই সোমবার ইউএস-বাংলার বিমানে করে স্বামীর সঙ্গে তিনি নেপালের উদ্দেশে রওনা হন।
বিমান ছাড়ার আগ মুহূর্তে শশী তার ফেসবুক আইডিতে ছবি আপলোড করে লিখেছেন, Nd here d journey begains…..# Advance clelebration_of_anniversary# special_march#mmntzzz_wid_him.
২৭ বছর বয়সী শশীর অকাল মৃত্যুতে স্বজনদের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
শাওনের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সাঁটুরিয়া উপজেলায় গোপালপুর এলাকায়। তার বাবার নাম মোজাম্মেল হক।
দুর্ঘটনায় আহত শাওন নেপালের একটি হাসপাতালে আইসিউতে ভর্তি আছেন বলে জানিয়েছেন তার মামা মো. আসাদ।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার বিমান দুর্ঘটনায় ২৬ বাংলাদেশীসহ ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সব খবর/ মানিকগঞ্জ/ ১৩ মার্চ ২০১৮/ লিটন
