সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উৎসবস্থল ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে মুখর

বেলা আড়াইটায় ‘বিজয় উৎসবের’ সময় নির্ধারণ করা আছে। বেলা তিনটায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উৎসবস্থলে আসবেন। সকাল ১০টা থেকেই আজকের উৎসবস্থল, বাংলাদেশের স্বাধিকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনের অনেক ঘটনার সাক্ষী সোহরাওয়ার্দী উদ্যান লোকারণ্য হয়ে উঠেছে। জয় বাংলা স্লোগানে উদ্যান মুখরিত। আজ শনিবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের ‘বিজয় উৎসব’। সেই উৎসবের কারণেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানমুখী জনস্রোত।

৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৫৭টি আসনে জয় পায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ। এ নিয়ে টানা তৃতীয়বার সরকার গঠন করেছে দলটি। শেখ হাসিনা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। ভোটের ১৯ দিন পর আজ বিজয় উৎসব পালন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। জনসভার মধ্যমণি থাকবেন দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

সভাস্থলে যাঁরা আসছেন, তাঁদের অনেকের গায়ে লাল-সবুজ টি–শার্ট। সবুজ, হলুদ আর লাল টুপি মাথায়। হেঁটে, পিকআপ, ট্রাক ও বাস করে আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা যাচ্ছেন সমাবেশস্থলে। ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা ছুটছেন সোহরাওয়ার্দীর দিকে। অনেকের হাতে আছে লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা।

সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশস্থলে ঢোকার একাধিক ফটকে দেখা গেছে ব্যাপক ভিড়। উদ্যানের ঢোকার আগে তল্লাশি চলছে সবার। মঞ্চের আশপাশে আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা ও বেলুন দিয়ে সাজানো হয়েছে। ফটকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনার ছবি এবং এর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অর্জনের ছবি রাখা হয়েছে।

এবার নির্বাচনের আগে সাড়া ফেলা ‘জিতবে এবার নৌকা’—গানটি একটু পাল্টানো হয়েছে। সুর একই রেখে ‘জিতেছে এবার নৌকা’ কথা জুড়ে দেওয়া হয়েছে গানে। এটি বাজছে মাঝেমধ্যেই।

দুপুরে এ প্রতিবেদন লেখার সময় সমাবেশস্থলের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ভরে গেছে মানুষে। একটু পর শুরু হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।