মৌসুমের প্রথম ৫২২ পর্যটকের সেন্টমার্টিন যাত্রা

প্রায় ছয় মাস বন্ধ থাকার পর প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। চলতি মৌসুমের প্রথমে দুটি জাহাজে করে ৫২২ পর্যটক সেন্টমার্টিন যাত্রা করেছেন। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন ও বে-ক্রুজ সেন্টমার্টিন পৌঁছালে ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান পযর্টকদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। সাগর উত্তাল থাকায় গত ৮ মে থেকে এ নৌপথে পর্যটক পারাপারে নিয়োজিত জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল স্থানীয় প্রশাসন।

বিআইডব্লিউটিএ টেকনাফের সমন্বয় কর্মকর্তা মো. হোসেন বলেন, জাহাজ ছাড়ার আগে ইউএনও, কোস্টগার্ড, ট্যুরিস্ট পুলিশ জাহাজ দুটি পরিদর্শন করেন। এ সময় পযর্টকদের নিরাপত্তাজনিত সরঞ্জাম রয়েছে কি-না খোঁজখবর নেয়া হয় এবং ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন হচ্ছে কি-না তা মনিটরিং করা হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সকালে টেকনাফের দমদমিয়া ঘাটে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা প্রায় সাড়ে পাঁচ শতাধিক পর্যটক ভিড় করেন। পরে কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইনে ২৮৪ ও বে-ক্রুজে ২৩৮ পযর্টক নিয়ে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে টেকনাফ ছেড়ে যায় জাহাজগুলো। রাত্রি যাপন করতে দেড় শতাধিকের বেশি পযর্টক দ্বীপে রয়েছেন। বাকি পযর্টকরা সন্ধ্যার আগে টেকনাফের দমদমিয়া জাহাজ ঘাটে ফিরে আসেন।

সেন্টমার্টিন ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বলেন, জাহাজ চলাচলে দ্বীপের সব শ্রেণি পেশার মানুষের মুখে হাসি ফুঁটে উঠেছে। গত সাড়ে ছয় মাস এখানকার মানুষ হতাশায় ভুগছিলেন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী না নেয়া, যেকোনো পরিস্থিতিতে পর্যটকদের নিরাপদে পৌঁছানোর ব্যবস্থা, আবহাওয়ার সতর্কতা-সংকেত মেনে চলা, জাহাজে আনসার বাহিনী নিয়োজিত রাখা, লাইফ-জ্যাকেটসহ সব নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং ফিটনেস লাইসেন্স সঙ্গে রাখার শর্ত দেয়া হয়েছে।

কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইনের টেকনাফের ব্যবস্থাপক মো. শাহ আলম বলেন, এখন সাগর শান্ত থাকায় পযর্টক পারাপারের অনুমতি দেয়ায় পুনরায় জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। এখন থেকে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টায় টেকনাফের দমদমিয়া ঘাট থেকে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে জাহাজ ছেড়ে যাবে।

টেকনাফ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. রবিউল হাসান বলেন, বিআইডব্লিউটিএ অনুমতি সাপেক্ষ প্রায় সাড়ে পাঁচ শতাধিক পর্যটক নিয়ে কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন ও বে-ক্রুজ নামে দুটি জাহাজ যাত্রা শুরু করেছে। শোনা যাচ্ছে আরও একাধিক জাহাজ অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছেন।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ভ্রমনে আসা পযর্টকদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের পাশাপাশি ট্যুরিস্টপুলিশও কাজ করছে। জাহাজে ও সেন্টমার্টিনে চুরি-ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশের জনবল বাড়ানোর পাশাপাশি টহল জোরদার করতে টেকনাফ থানা পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।