‘মৌসুমী জাসাস করতো প্রমাণ করতে পারলে প্রকাশ্যে মাফ চাইবো’

একাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি হতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন চিত্রনায়িকা আরিফা পারভিন মৌসুমী। বুধবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক গুলজার।

মৌসুমীর মনোনয়ন ক্রয়ের পর থেকেই চিত্রপাড়ায় নানা রকম খবর ছড়িয়ে পড়ে। কোথাও কোথাও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যে মৌসুমী জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংগঠন (জাসাস) করতেন। এমনকী তাকে সক্রিয় সদস্যও হিসেবেও উল্লেখ করা হয়। কোথাও কোথাও আলোচনা হচ্ছে ওমর সানীর সমর্থনেই মৌসুমী জাসাস করতেন।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন স্বামী ওমর সানী। তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মৌসুমী জাসাসের প্রোগ্রামে গিয়েছিল। রাষ্ট্র ক্ষমতায় বিএনপি ক্ষমতায় ছিল, জাসাসের আমন্ত্রণে গিয়ে দেখে সেখানে তারেক রহমান। কিন্তু কোনো আমন্ত্রণে যাওয়া মানেই কিন্তু সেই দলের সদস্য হয়ে যাওয়া নয়। আমি চ্যালেঞ্জ করলাম পৃথিবীর কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে মৌসুমী জাসাস করতো তাহলে আমি প্রকাশ্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে সকলের কাছে হাতজোর মাফ চাইবো।

ওমর সানী বলেন, ‘যদি সেই অর্থে সদস্য বলেন, তাহলে রিয়াজ, পূর্ণিমা, অমিত হাসান, মিশা সবাই জাসাস করতো; আপনাদের সাংবাদিকের হিসেব অনুযায়ী এটাই তো হয় তাই না? রাষ্ট্রক্ষমতায় যারা তাদের থাকে কিছু কিছু বিষয় উপেক্ষা করা যায় না। এটা দৃষ্টিকটূ, ধৃষ্টতা। আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ছবি রয়েছে। অনেক তারকার ছবি রয়েছে। আল্লাহ না-চাক কোনোদিন যদি অন্য সরকার আসে, সেই সময় একটা শ্রেণি এইসব ছবি নিয়ে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করবে। মৌসুমী জাসাস করেনি, তার কোথাও কোনো সাক্ষর কিংবা নাম দেখাতে পারবে না, এটা আমি চ্যালেঞ্জ করলাম। সকল সাংবাদিকদের চ্যালেঞ্জ করলাম, পারলে আপনারা নাম দেখান।’

মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে মনোনয়নপত্র বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার আগ পর্যন্ত এই ফরম বিক্রির কার্যক্রম চলবে বলে জানা গেছে। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে এবার আওয়ামী লীগ ৪৩টি, জাতীয় পার্টি ৪টি, বিএনপি ১টি, ওয়ার্কার্স পার্টি ১টি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জোটভুক্ত হয়ে ১টি আসন পাচ্ছে।