মানিকগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ : চার দিনেও গ্রেপ্তার নেই

স্টাফ রিপোর্টার : মানিকগঞ্জে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার চার দিনেও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এই ঘটনা নিয়ে সোমবার আয়োজিত মানববন্ধনে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা। তাঁরা শিগগির আসামিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

মামলার এজাহার এবং স্কুলছাত্রীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, জেলা শহরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। গত মঙ্গলবার (২২ মে) ঘিওর উপজেলার একটি গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে পূজার অনুষ্ঠানে যায় সে। রাত আটটার দিকে অনুষ্ঠানস্থল থেকে তাকে বাড়ির পাশে ডেকে নিয়ে যান একই গ্রামের মো. জনি (২০)। এরপর বাড়ির পাশের ফাঁকা মাঠে নিয়ে জনিসহ একই গ্রামের রুবেল মিয়া (২৬) ও শহিদুল ইসলাম (২৫) মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন।

এ ঘটনায় এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা আপস-মীমাংসা করে দিবে বলে মামলা না করতে মেয়েটির পরিবারকে চাপ দেন। এরপর গত বৃহস্পতিবার মেয়েটির মা ওই তিন যুবককে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে সোমবার সকাল ১০ টার দিকে আসামিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে জাতীয় মহিলা সংস্থার জেলার চেয়ারম্যান লক্ষ্ণী চ্যাটার্জীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান মহিলা ঐক্য পরিষদের সহসভাপতি গীতা বিশ্বাস, সাধারন সম্পাদক দীপালী চক্রবর্তী, জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি দীপক কুমার ঘোষ, খান বাহাদুর কলেজের অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগম, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অসীম কুমার বিশ্বাস, হাঙ্গার প্রজেক্ট জেলার সভাপতি তাজরানা ইয়াসমিন, উদীচীর জেলা সংসদের সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান এবং বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল রায় প্রমুখ।

লক্ষ্ণী চ্যাটার্জী বলেন, মামলা দায়েরের চার দিনেও পুলিশ তিন আসামির কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এটা আমাদের জন্য উদ্বেগজনক। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

সব খবর/ মানিকগঞ্জ/ ২৮ মে ২০১৮/ লিটন