প্রার্থীদের তোপের মুখে নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ

পার্থ হাসান, পাবনা : পাবনার আড়িয়াডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে অবৈধ পন্থায় ও বে-আইনী ভাবে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগ পরীক্ষা নিতে গিয়ে প্রার্থীদের তোপের মুখে বন্ধ করতে বাধ্য হলো কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার দুপুর দুইটায় পাবনা সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার সাথিয়া উপজলার আর-আতাইকুলা ইউনিয়নের অড়িয়াডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ে নিন্মমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর শুণ্য পদে নিয়েগের জন্যে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়। পরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর মোট ১০ জন আবেদন করলেও যাচাই বাছাই শেষে ৯ জনকে নিয়োগ পরীক্ষার জন্যে প্রবেশপত্র পাঠানো হয়। ওই প্রবেশ পত্র অনুযায়ী পাবনা সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ে দুপুর দুইটায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। পরে বিকেল চারটার দিকে পরীক্ষা বাতিল করেন কর্তৃপক্ষ।

পরীক্ষা দিতে আসা প্রার্থী মোঃ মিলন হোসাইন বলেন, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শহিদুল্লাহ মিলে উৎকোচের বিনিময়ে এক প্রার্থীকে চাকুরী দেওয়ার অপতৎপরতা চালায়। পরে বিকেল চারটা পর্যন্ত পরীক্ষা নিতে পারেন নাই তারা। ভাড়া করে এনে ৩জনকে পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করেও তারা ব্যার্থ হয় কতৃপক্ষের। মিম খাতুন নামের একজনের নিকট থেকে উৎকোচ নিয়ে তাকে চাকুরী দেওয়ার চেষ্টা করে আসছেন। আমরা সব সময়ই মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার দাবী করে আসছিলাম।

এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ বলেন, উৎকোচ নেওয়া হয়নি, তবে এই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান সভাপতির নিকট আত্মীয়কে নিয়োগ প্রদানের জন্য উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের চাপ ছিল বলেই এমন গুজব ছড়ানো হয়েছে। তবে আমরা সুষ্ঠু ভাবে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার জন্যে ইতিমধ্যেই সাথিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দকুর রহমান, পাবনা সরকারী বলিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকে এই নিয়োগ বোর্ডের সদস্য করা হয়।সেই মোতাবেক আমরা পরীক্ষা গ্রহনের পক্রিয়া করেছিলাম। পরিক্ষার্থীদের অনুপুস্থিতে মঙ্গলবার পরীক্ষা হয়নি, পরবর্তীতে নিয়মানুযায়ী ওই শুণ্য পদ পূরণ করা হবে।

আড়িয়াডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ শহিদুল্লাহ বলেন, সম্পূর্ণ নিয়মানুযায়ী আমরা ওই পদে লোক নিয়োগের চেষ্টা করছিলাম। বহিরাগত কতিপয় সন্ত্রাসীরা এসে এই পরীক্ষা ভন্ডুল করে দেয়।

পাবনা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মমিন বলেন, দুপুর দুইটায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, প্রার্থীদের মধ্যে নুন্যতম ৩জন উপস্থিত না থাকায় পরীক্ষা নিতে একটু দেরি হয়। বিকেল চার টার দিকে ৩জন পরীক্ষার্থী উপস্থিত হলে পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করলে কতিপয় বহিরাগতরা এসে বাধার সৃষ্টি করলে গতকাল মঙ্গলবার নির্ধারিত এই পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।

এ বিষয়ে সাঁথিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দকুর রহমান বলেন, আমরা সম্পূর্ণ নিয়োমের মধ্যে থেকেই নিয়োগ প্রদান করতে চাই। কোন প্রকার ঝামেলা আমরাও চাই না। তবে এ ধরনের নিয়োগকে কেন্দ্র করে এলাকায় তো এ ধরনের ঝামলার সৃষ্টি হয়েই থাকে। তারপরেও আমরা নিয়মের ভেতরে থেকেই নিয়োগ পক্রিয়া সম্পন্ন করতে চাই।

সব খবর/ পাবনা/ ১৪ জুন ২০১৮/ লিটন