পহেলা বৈশাখে ঘুরতে গিয়ে নারী পোশাক কর্মী গণধষর্ণের শিকার, গুরুতর অবস্থায় ঢামেকে ভর্তি
ধর্ষিতার পরিবারের দাবি বন্ধুরা ঐ কিশোরীকে ধর্ষণ করার ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় সন্ধ্যা ৭টার সময় সিএনজি (অটোরিকশা) যোগে চট্টগ্রাম শহর থেকে পটিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পটিয়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. বাবলু দাশ জানান, দুজন মিলে কিশোরীকে ধর্ষণের ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। সন্ধ্যা ৭টার সময় ভিকটিমকে মুমূর্ষু অবস্থায় পটিয়া সরকারি মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে এলে মেয়েটির অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে ভিকটিমকে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
রাত সোয়া ৮টার সময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক আমির হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, পটিয়া থেকে বন্ধুদের হাতে ধর্ষণের শিকার একটি কিশোরীকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়েছে। বর্তমানে সে হাসপাতালের ওয়ান স্টেপ ক্রাইসিস সেন্টারের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে মেয়েটির অবস্থা গুরুতর বলে জানান তিনি।
ধর্ষিতার ভাই দিদার জানান, তার বোন পটিয়া আরেফিন টেক্সটাইল গার্মেন্টসে চাকরি করেন। সহজ সরল বোনকে ফুসলিয়ে ধর্ষণ করে পটিয়া উপজেলার কচুয়াইন গ্রামের রিপন নামে এক প্রতারক। ধর্ষক রিপন (২৬) গাড়ি চালকের সহকারী বলে জানিয়েছেন দিদার।
তিনি বলেন, রবিবার বর্ষবরণ অনুষ্ঠান দেখার নামে তার বোনকে শহরে নিয়ে রিপনের এক বন্ধু ও রিপন দুজনে মিলে ধর্ষণ করে। বর্তমানে তার বোনের অবস্থা ভালো নয়। প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে জানিয়ে তার বোন একটু সুস্থ হলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানায় কিশোরীর ভাই দিদার।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন ফারুকী বলেন, মৌখিকভাবে এক কিশোরী ধর্ষণের খবর পেয়ে থানা থেকে হাসপাতালে ফোর্স পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে ধর্ষকদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানালেন ওসি হেলাল উদ্দিন।