কখনো খেলেননি ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলে। আহামরি নয় ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরম্যান্সও। ৫৬টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ১৮৪, ২৯ লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে ৪৬ এবং ৩৮ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নামের পাশে উইকেটসংখ্যা কেবল ৪২টি।
ফলে ব্যাঙ্গালুরুর কর্ণটাকায় জন্ম নেয়া ২৫ বছর বয়সী লেগস্পিনার শ্রেয়াস গোপালকে নিয়ে আলাদা করে চিন্তা করার কিছু ছিলো না আইপিএলের দলগুলোর। কিন্তু প্রতিপক্ষ যখন তার নিজ শহরের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু, তখন যেনো বাড়তি উদ্যমে তেঁতে ওঠেন গোপাল। এবি ডি ভিলিয়ার্স, বিরাট কোহলিদের জন্য হয়ে যান মূর্তিমান আতঙ্ক।
আজ (মঙ্গলবার) রাজস্থান রয়্যালসের জার্সিতে খেলতে নেমে একাই ধরাশায়ী করেছেন ব্যাঙ্গালুরুর ইনিংসকে। চার ওভারের স্পেলে ১ মেইডেনসহ মাত্র ১২ রান খরচায় নিয়েছেন ৩টি উইকেট। আউট করেছেন বিরাট কোহলি, এবি ডি ভিলিয়ার্স এবং শিমরন হেটমায়ারকে।
ভারতের যেকোনো অনভিষিক্ত বোলারের জন্য বিরাট কোহলি বা ডি ভিলিয়ার্সের উইকেট নেয়া অনেকটা স্বপ্ন পূরণের মতো। কিন্তু গোপালের জন্য এটি যেনো ডালভাত! কেনোনা কোহলি-ডি ভিলিয়ার্সের বিপক্ষে প্রায় শতভাগ সফল ২৫ বছর বয়সী এ লেগস্পিনার।
ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে এখনো পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলে ৯টি উইকেট শিকার করেছেন গোপাল। তিন ম্যাচে ১২ ওভার বোলিং করে খরচ করেছেন মাত্র ৫০ রান। এই ৯ উইকেটের মধ্যে ৫টিই আবার কোহলি ও ডি ভিলিয়ার্সের।
আজ তিন উইকেটের তিনটিই নিয়েছেন গুগলিতে। প্রথমে শার্প গুগলিতে পরাস্ত করেছেন কোহলিকে, পরে সোজা এক গুগলির মধ্যে গতির তারতম্যে বোকা বানিয়ে ফিরতি ক্যাচে পরিণত করেছেন ডি ভিলিয়ার্সকে। এছাড়া শিমরন হেটমায়ারকেও উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়েছেন গুগলি করেই।
কোহলি-ডি ভিলিয়ার্সকে একই ইনিংসে আউট করার কৃতিত্ব এবারই প্রথম নয় গোপালের জন্য। আইপিএলের গত আসরেও ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে প্রথম সাক্ষাতে এ দুই বিশ্ব তারকার উইকেট নিয়েছিলেন শ্রেয়াস গোপাল। এছাড়া আসরে দ্বিতীয় সাক্ষাতেও ডি ভিলিয়ার্সকে সাজঘরে পাঠান গোপাল।
সবমিলিয়ে কোহলি-ডি ভিলিয়ার্সের বিপক্ষে তিন ম্যাচে ৩৫ বল করে ১৭টিই ডট দিয়েছেন রাজস্থানের জার্সিতে খেলা গোপাল। খরচ করেছেন ৩৪ রান, বিনিময়ে দুইজনকে আউট করেছেন মোট ৫ বার। একবার মাত্র কোহলির উইকেট নিতে ব্যর্থ হয়েছেন গোপাল।
