ঢাকা অফিস : করোনাভাইরাস নিয়ে গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছেন র্যাবের নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। আবেগতাড়িত হয়ে, না জেনে লাইক-শেয়ার না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে তিনি।
শনিবার র্যাবের প্রধান কার্যালয় থেকে অনলাইনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
গুজব ছড়ানোর অভিযোগে এরই মধ্যে অর্ধশতাধিক ওয়েবসাইটকে নজরদারিতে আনা হয়েছে জানিয়ে র্যাব ডিজি বলেন, অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো তথ্য দেখলে যাচাই না করে লাইক-শেয়ার করে থাকেন, যার কারণে অনেকেই আইনের আওতায় চলে আসেন। এ পর্যন্ত র্যাব এসব কারণে ১১ জনকে আইনের আওতায় এনেছে।
এ সময় রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যাপারে র্যাব কাজ করছে বলে জানান র্যাব ডিজি। তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, রমজান আসলে পণ্যের দাম বাড়াতে হবে এ সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, রমজান মাসে সবাই যেন নির্বিঘ্নে চলতে পারে, সেজন্য র্যাবের টহল দল নিয়োজিত আছে। বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার পাশপাশি নিয়মিত অপরাধ দমনেও র্যাব কাজ করছে।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতে কোনো অপরাধী যেন সুযোগ নিতে না পারে সে ব্যাপারেও র্যাব কাজ করছে। একই সঙ্গে জঙ্গি-সন্ত্রাসী দমনেও অতীতের মতো কাজ করে যাচ্ছে। করোনা প্রকোপের মধ্যে এ পর্যন্ত ৩২ জঙ্গিসহ ১৩৮২ জন অপরাধীকে গ্রেফতারের কথা জানান র্যাব ডিজি।
এছাড়া সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে র্যাব সারা দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে বলেও জানান র্যাবের মহাপরিচালক। বলেন, এরই মধ্যে ৩৫৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুই হাজারেরও বেশি ব্যক্তিকে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। একই সঙ্গে নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্কসহ চিকিৎসাসামগ্রী আমদানি ও সরবরাহ করার অভিযোগে ১৮টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার পাশপাশি ৯ জনকে দণ্ড এবং ৬২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
র্যাব ডিজি জানান, লকডাউনের শুরুতে পেঁয়াজ, চালসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী দাম বাড়ানোর অপচেষ্টাকারীদেরও ছাড় দেয়া হয়নি। এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে থেকে ৫টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে র্যাব। কয়েকজনকে কারাদণ্ড এবং প্রায় ১ কোটি ৩২ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, করোনার এই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকারি খাদ্যসামগ্রী বিতরণে অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধেও র্যাব কঠোর অবস্থান দেখিয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরকারি খাদ্যসামগ্রী উদ্ধার এবং আত্মসাতে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনেছে র্যাব।
