প্রযুক্তি ডেস্ক: গল্পের মতো শোনালেও বিষয়টি সত্যি গৃহকর্মী থেকে হয়ে গেলেন মাইক্রোসফটের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর কুড়িগ্রামের ফাতেমা। বাল্যবিয়ের হাত থেকে মুক্ত হওয়া এই কিশোরী এখন জগৎখ্যাত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা গ্রামের মেয়ে ফাতেমা।
অভাবের সংসারে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ার সময় একটি বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ নেয় ফাতেমা। দুই বছর পর হঠাৎ ডাক আসে বাড়ি থেকে। হাসিমুখে গিয়ে ফাতেমা দেখে, তার বিয়ে ঠিক হয়েছে। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে ফাতেমার। বাল্যবিয়ের হাত থেকে তাকে রক্ষায় এগিয়ে আসে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের সংগঠন ‘আশার আলোর পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বজিত বর্মণ। ফাতেমার বাবা-মাকে বুঝিয়ে তার লেখাপড়ার দায়িত্বও নেয় তারা।
লেখাপড়ার পাশাপাশি স্থানীয় ওয়ার্ল্ড উইনার আইটি পাঠশালা থেকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নেয় ফাতেমা। হঠাৎ একদিন মাইক্রোসফটের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা স্কুল পরিদর্শনে এসে ফাতেমার অদম্য প্রাণশক্তির গল্প শোনেন। ব্যাস, পাল্টে যায় কিশোরী ফাতেমার জীবন। তাকে মনোনীত করেন মাইক্রোসফটের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে।
ফাতেমা খাতুন জানান, তার স্বপ্ন ছিল পড়াশোনা করে বড় হবে। তিনি বলেন, বিশ্বজিত স্যার আমাকে তথ্য প্রযুক্তি খাতের সঙ্গে পরিচয় করে দিয়েছেন। আমার স্বপ্ন বড় হয়ে নারীদের আইটি শিক্ষায় অবদান রাখবো।
ফাতেমাকে নিয়ে একটি ডকুমেন্টরিও করেছে মাইক্রোসফট। যেখানে তুলে ধরা হয়েছে উঠেছে তার উৎসাহ আর জীবনযুদ্ধের গল্প।
সব খবর/ মানিকগঞ্জ/ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/ নীল