পাবনায় খাপড়া ওয়ার্ড দিবস পালিত

পার্থ হাসান, পাবনা : বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে ১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিলের খাপড়া ওয়ার্ড বিদ্রোহ একটি মাইল ফলক। সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে জেল খানার নিরস্ত্র বন্দীরা প্রতিরোধের যে অনবদ্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীকার আদায়ের সকল আন্দোলনে তা ছিল পথ প্রদর্শক।

ঐতিহাসিক খাপড়া ওয়ার্ড দিবস উপলক্ষ্যে বুধবার সন্ধ্যায় পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

আমিনুল ইসলাম বাদশা ফাউন্ডেশনের আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম রবির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমেদ বুরো, বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টির জেলা সভাপতি কমরেড জাকির হোসেন, ন্যাপ জেলা সভাপতি রেজাউল করিম মণি,সাংবাদিক এবিএম ফজলুর রহমান, কাজী বাবলা, এস এ আসাদ, তপু আহমেদ প্রমূখ।

রাসেল রহমানের সঞ্চালনায় সভার শুরুতেই খাপড়া ওয়ার্ডে পুলিশের গুলিতে শহীদ বিপ্লবীদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

আলোচনা সভায় বক্তারা খাপড়া ওয়ার্ড হত্যাকান্ডকে উপমহাদেশের প্রথম জেলহত্যা উল্লেখ করে দিবসটিকে ঐতিহাসিক খাপড়া ওয়ার্ড শহীদ দিবস জাতীয়ভাবে পালনের দাবি জানিয়েছেন। ইতিহাসের দায় মেটানোর প্রয়োজনে ওই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেছেন তাঁরা।

প্রসঙ্গত, ১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম লীগ সরকারের ষড়যন্ত্রে রাজশাহী কারাগারের খাপড়া ওয়ার্ডে অবস্থানরত রাজনৈতিক বন্দী কমিউনিস্ট পার্টির কর্মীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। এতে শহীদ হন দেলোয়ার হোসেন, হানিফ শেখ, আনোয়ার হোসেন, সুধীন ধর, বিজন সেন, সুখেন্দু ভট্টাচার্য ও কম্পরাম সিং। আহত হন পাবনার কমরেড প্রসাদ রায়, আমিনুল ইসলাম বাদশাসহ প্রায় ৩২ জন বিপ্লবী নিরস্ত্র কারাবন্দী।

সব খবর/ পাবনা/ ২৪ এপ্রিল ২০১৮/ লিটন