স্টাফ রিপোর্টার : ঈদের ছুটিতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীদের নির্বিঘ্নে বাড়ি ফেরা নিয়ে আশংকা প্রকাশ করেছে বিআিইডব্লিটিসি।
নিরাপদে যাত্রী পারাপার উপলক্ষ্যে পাটুরিয়া ঘাটে জেলা প্রশাসকের কন্ট্রোল রুম ‘মোহনা’য় আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ আশংকার কথা জানান বিআইডব্লিউটিসি’র সহকারী মহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান।
তিনি বলেন, বিগত সময়ে ঈদের আগে লম্বা ছুটি ছিল। যাত্রী পারাপারে সমস্যা থাকলেও তার সমাধান করা সম্ভব হয়েছে। এবারের ঈদের আগে লম্বা ছুটি না থাকায় ঈদের দুই দিন আগে (বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার) যাত্রী ও গাড়ীর চাপ বেড়ে যাবে। যানবাহেনের লাইন পাটুরিয়া ঘাট থেকে টেপড়া পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ হতে পারে।
তিনি বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে বর্তমানে ৭টি রো রো, ৬টি ইউটিলিটি ও ৪টি কে টাইপ ফেরি চালু আছে। আগামী দুই দিনের মধ্যে এই রুটে আরো দুটি রো ফেরি যুক্ত হবে। তবে আরো একটি রো রো ফেরি থাকলে সুবিধা হতো।
তিনি বলেন, ফেরিগুলো পুরাতন থাকায় মাঝে মাঝে তা কারখানায় মেরামতে থাকে। এছাড়া ভিআইপিদের পারাপারে জন্য একটি ফেরি রিজার্ভে রাখতে হয়। এসবকারণে ঈদের আগে অতিরিক্ত যাত্রী ও গাড়ী সময়মত ফেরিতে পারাপার করা কষ্টকর হবে।
জেলা প্রশাসক মো. নাজমুছ সাদাত সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি‘র কর্মকর্তাবৃন্দ।
বিআইডব্লিউটিএ’র ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ফরিদুল আলম বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা কাজিরহাট নৌরুটে মোট ৩৩টি লঞ্চ চালু আছে। এদের মধ্যে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ১৮টি আর বাকীগুলি আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে চলছে। আরিচা ঘাট হয়ে পাবনার যাত্রীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এই রুটে অনুমোদনহীন ১৭টি স্পীডবোট রয়েছে। লঞ্চ ও স্পীডবোটে কোনরকমে পারাপার করা যাবে। তবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকলে ভয়াবহ অবস্থা তৈরী হবে।
শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, রাজবাড়ির দৌলতদিয়া সাইডে অব্যবস্থাপনার কারণে সমস্যা আরো বেড়ে যায়।
এ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম বলেন, ঘাটের আইনমৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ জেলার অংশে পুলিশ, আনসারসহ ৫শতাধিক আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবে। তবে ফেরিতে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করতে না পারলে তার কিছুই করার থাকবে না। তিনি বলেন, মাওয়া রোডে যানজট থাকায় দেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের জেলগুলোর ছোট গাড়ীগুলি পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুট ব্যবহার করছে। এভাবে ছোট গাড়ীর চাপ বাড়তে থাকলে ফেরিপারপারে সমস্যা হবে। তবে ঘাট এলাকায়, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোন অবনতি ঘটবে না বলে জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক মো. নাজমুছ সাদাত সেলিম বলেন, পাটুরিয়া ঘাটে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ থেকে ২০ জুন সার্বক্ষনিক অফিস খোলা থাকবে।অতিরিক্ত ভাড়া বন্ধ সহসকল ধরণের অনিয়ম বন্ধে একজন নির্বাহী ম্যাস্ট্রিট সার্বক্ষণিক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন। মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত থাকবে।
লঞ্চে যাত্রীদের জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম নিশ্চিত করা এবং অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে না পারে সেদিকে সতর্ক থাকতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
সব খবর/ মানিকগঞ্জ/ ৯ জুন ২০১৮/ লিটন