পঞ্চাশ হাজার টাকার লোভে ৩ বন্ধুই হত্যা করে ব্যবসায়ীকে

স্টাফ রিপোর্টার : সঞ্চয়কৃত মাত্র ৫০ হাজার টাকা হাতাতে জঙ্গলে নিয়ে পতিতা ও মদের নেশায় মাতাল করে ৩ বন্ধু মিলে গলায় গেঞ্জি পেঁচিয়ে হত্যা করা হয় ব্যবসায়ী মহিন উদ্দিনকে। চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ির উত্তর নিশ্চিন্তাপুরের মহিন উদ্দিন হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার বন্ধু রমজান আলী এমনই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন পুলিশের কাছে। সে ওই হত্যা মামলার প্রথম আসামি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ফটিকছড়ি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আরিফ এই তথ্য জানিয়েছেন।

গ্রেফতার রমজান আলীর স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে তিনি আরো বলেন, মুলত মহিন উদ্দিনের কাছে থাকা আনুমানিক ৫০ হাজার টাকা হাতাতেই তাকে হত্যা করা হয়। রমজানের সঙ্গে এসময় আমির ও আরেক সহযোগী ছিল বলে জানা গেছে। হত্যা পর মহিনের লাশ পাশের খালে ফেলে দেয় তারা।

এর আগে ওই টাকাগুলো হাতিয়ে নেয়ার জন্য কৌশলে মহিনকে বন্ধুরা নিশ্চিন্তাপুর দীঘির পাড়ের জঙ্গলে নিয়ে পতিতা ও মদের নেশায় মাতাল করে।

এসআই মোহাম্মদ আরিফ জানান, প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে রমজানকে ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া থানা এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।

এই তদন্ত কর্মকর্তা আরো বলেন, মহিন উদ্দিন নানুপুর বাজারে কাঁচা তরকারীর ব্যবসা করতেন। গত ২১ আগস্ট রাতে তিনি স্ত্রী রুজি আকতারকে ফোন করে জানায় বাড়িতে আসছেন। কিন্তু সে রাতে না ফেরায় বাড়ির লোকজনকে বিয়টি জানায় এবং চারদিকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। তার কোনো সন্ধান না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন মহিন উদ্দিনের স্ত্রী রুজি আকতার।

এরপর ১ সেপ্টেম্বর সকালে উত্তর নিশ্চিন্তাপুর দীঘিরপাড়ে মহিন উদ্দিনের লাশ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রুজি আকতার বাদী হয়ে ফটিকছড়ি থানায় দুইজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামরা দায়ের করেন। ওই মামলায় রুজি আকতার তার স্বামী মহিন উদ্দিনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে মামলার এজহারে উল্লেখ করেন।

মামলায় আসামি করা হয়- ময়মনসিংহের ধোবাউড়া থানার রনসিংহপুরের মৃত আবদুল আজিজের পুত্র মো. রমজান আলী (৩৫) ও চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ৯ নং ওয়ার্ডের সারাং বাড়ির মৃত চন্নু মিয়ার ছেলে মো. আমির হোসেনকে (৪৭)।

এরপরই প্রযুক্তির সাহায্যে মহিন উদ্দিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটির অবস্থান ময়মনসিংহের ধোবাউড়া থানার রনসিংহপুরে পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গে ৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ময়মনসিংহের ধোবাউড়া থানা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে সেখান থেকে মোবাইলসহ রমজান আলীক আটক করা হয়।

আটকের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রমজান আলী মহিন উদ্দিনকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তার দেয়া তথ্যমতে অন্য আসামিদেরও আটকের প্রচেষ্টা চলছে বলেন জানান এসআই আরিফ।