কোরবান আলী, ঝিনাইদহ: মৎস্য চাষে অনুকরণীয় অবদান রাখার জন্য নারী উদ্যোক্তা হিসেবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার পেলেন ঝিনাইদহের নারী উদ্যোক্তা লাভলী ইয়াসমিন। ২০০১ সালে গ্রামের একটি পুকুরে মাছ চাষ শুরু করে নিজের যোগ্যতা ও পরিশ্রম দিয়ে লাভলী ইয়াসমিন নিজেকে আজ নিয়ে গেছেন অনেক উচ্চতায়। প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা তথা ঝিনাইদহবাসীকে করেছেন গৌরবান্বিত।
জানা যায়, ২০০১ সালে গ্রামের একটি পুকুর লীজ নিয়ে রুই, কাতলা, মৃগেল ও সিলভারকার্প মাছের চাষ শুরু করেন। বর্তমানে তিনি ৮ একর জমিতে কার্পসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করছেন। লাভলী ইয়াসমিন তার খামারে ৯’শ কেজি রেনু ও ২৫ হাজার কেজি পোনা উৎপাদন করে ১৪২৩ বাংলা সালে ৬১ লাখ ৬৮ হাজার টাকা আয় করেন। পাশাপাশি তার মাছের খামারে ২’শ জন বেকার নারী পুরুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। তার সফলতা দেখে এলাকার অনেকে মাছ চাষে আগ্রহ হয়ে উঠেছেন। মাছ চাষের পাশাপাশি তিনি গবাদী পশু, হাস-মুরগী ও শাক-সবজি চাষে অগ্রনী ভূমিকা রেখে চলেছেন। মাছ চাষের উপযোগী রেনু পোনা উৎপাদন করে এলাকার চাহিদা মিটিয়ে আর্থিক ভাবে লাভবান হয়েছেন। তার উৎপাদিত মাছ এলাকার আমিষের চাহিদা পূরনে উল্লেখযোগ্য অবদান করেছেন। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মাছ চাষে সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার (রৌপ্য) পদক পেয়েছেন।
এ ব্যাপারে লাভলী ইয়াসমিন তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, আমার এই অর্জন ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগীতায় সম্ভব হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তা ড. খান মোঃ মনিরুজ্জামান আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিগত পরামর্শ দিয়ে আমাকে সকল প্রকার সহযোগিতা করেছেন।
তিনি বলেন, সঠিক পথে কাজ করলে পুরস্কার এক সময় সকলের ঘরেই আসবে। বর্তমান সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পুরস্কারে নির্বাচিত করেছে। এই জন্য আমি বর্তমান সরকারের কাছে চিরকৃতজ্ঞ। সেইসঙ্গে এই পুরস্কারে নির্বাচিত হওয়ায় আজ আমার কাজের অগ্রগতি আরও গতিশীল হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি পরিশ্রম করলে একদিন ভাগ্যের পরিবর্তন আসবেই। আজ আমার দীর্ঘ দিনের পরিশ্রম স্বার্থক এবং সফল হয়েছে। আমার এই পুরস্কার আমি ঝিনাইদহের সকল কৃষকের মাঝে উৎস্বর্গ করলাম।
সব খবর/ঝিনাইদহ/৫ মার্চ ২০১৮/সোহেল