সব খবর রিপোট : ধর্ষণে ব্যর্থ হয়েই হবিগঞ্জে যুক্তরাজ্য প্রবাসীর স্ত্রী ও মাকে হত্যা করা হয়। পুলিশের কাছে গ্রেফতারের পর দুই প্রধান অভিযুক্ত আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে দাবি করেছেন জেলার পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা। রহস্য উদঘাটন হওয়ায় শিগগিরই মামলার চার্জশিট দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
বৃহস্পতিবার সকালে হবিগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সম্পা জাহানের আদালতে, গ্রেফতার শুভ ও আবু তালেব বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বিকেলে এ বিষয়ে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ সুপার। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, যুক্তরাজ্য প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করতে গিয়েই জোড়া খুনের ঘটনা ঘটায় দুই বখাটে।
তিনি বলেন, ‘আখলাক চৌধুরীর বিয়ে হয়েছে প্রায় আড়াই বছর আগে। তার স্ত্রী রুমি বেগম দেখতে সুন্দরী। ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টাকে কেন্দ্র করেই মূলত এই হত্যাকাণ্ড। আকলাখের স্ত্রীকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে শুভ। এর অংশ হিসেবে গত রোববার রাতে তালেব নামে এক সহযোগীকে নিয়ে ওই বাড়িতে যায় সে। তাদেরকে বাধা দেন রুমীর শাশুড়ি মালা বেগম। এসময় তাকে ছুরিকাঘাত করে তালেব ও শুভ। পরে তাদেরকে ধাওয়া দিলে রুমী বেগমকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।’
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আরো জানান, পূর্ব পরিচয় না থাকলেও, ধর্ষণের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আবু তালেবকে সঙ্গে নেয় শুভ।
সব খবর/ হবিগঞ্জ/ ১৮ মে ২০১৮/ লিটন