জাহিদুল হক চন্দন : মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার নয়াকান্দি ও কুশেরচর এলাকায় কালীগঙ্গা নদীতে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
মানিকগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর উজ্জ্বল হোসেন ও যুবলীগ কর্মী মিলন এই ড্রেজার ব্যবসা পরিচালনা করছে।
প্রায় মাস খানেক ধরে ওই স্পট থেকে চারটি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় হুমকির মুখে পড়েছে নদী তীরবর্তী ফসলিজমি ও বসতভিটা।
নেপথ্যে সরকার দলীয় প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা থাকায় স্থানীয়রা ভয়ে কিছু বলতে সাহস পায়না। তবে, প্রশাসন ড্রেজার বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
পৌর এলাকার জরিনা কলেজ মোড় থেকে দক্ষিণ দিকে কালীগঙ্গা নদীর ওপর ব্রীজ (স্থানীয়ভাবে এটিকে সোজা ঘাট বলে) থেকে সামনে এগুলেই চোখে পড়বে ওই চারটি ড্রেজার।
সরেজমিন এলাকা পরিদর্শনে দেখা গেছে, কাউন্সিলর উজ্জল হোসেন ও যুবলীগ কর্মী মিলন ড্রেজার গুলো পরিচালনা করেন। এদের নেপথ্যে রয়েছে জেলা আওয়ামীলীগ, সদর আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী তিন নেতা। তাদের পৃষ্ঠপোষকতাতেই ওই ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিবছরই এই স্থানে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হয়। এই ড্রেজারের ফলে নদীর পাশে বাঁধ অনেকের ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি হুমকির মুখে রয়েছে। বিভিন্ন লোকের বাড়ির ওপর দিয়ে জোড়পূর্বক ড্রেজারের লম্বা লম্বা পাইপ বসানো হয়। সরকার দলীয় প্রভাবশালী নেতাদের ড্রেজার হওয়ার তাদের বিরুদ্ধে কোন কথা বলা যায়না।
তারা আরো জানান, রাস্তাঘাট ও কবরাস্থানের নাম করে তারা বালুর ব্যবসা পরিচালনা করছে। রাস্তাঘাট এগুলো তাদের সাইনবোর্ড। এলাকাবাসীর ক্ষতি করে তারা লাখ লাখ টাকার বালুর ব্যবসা করছে।
এব্যাপারে পৌরকাউন্সিলর উজ্জল হোসেন জানান, প্রশাসনের অনুমতি না থাকলেও বড় বড় নেতাদের টাকা দিয়েই ড্রেজার চালাচ্ছি। এসব বালু রাস্তায় ফেলছি।
তবে, মোবাইল ফোনে আরেক ব্যবসায়ী মিলনকে পাওয়া যায়নি।
এব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জেতি প্রু সব খবরকে জানান, বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সব খবর/ মানিকগঞ্জ/ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/ লিটন