আশিকুর রহমান, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের মালতি গ্রামের ২য় শ্রেণীর এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে । এ ঘটনায় ৯ জুন শনিবার রাতে ধর্ষিতার বাবা বাদি হয়ে কালিহাতী থানায় মামলা দায়ের করে।
ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী শনিবার টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।
শিশুটি উপজেলার কদমতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীর ছাত্রী। অভিযুক্ত ধর্ষক মাহাবুব (১৮) উপজেলার মালতী গ্রামের প্রবাসি তায়েজ উদ্দিনের ছেলে।
জানা যায়, গত বুধবার শিশুটি বাড়ির উঠানে খেলার সময় মাহাবুব মেয়েটিকে ডেকে ঘরের ভিতরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটির চিৎকারে করলে মাহবুব হোসেন মেয়ের মুখ চেপে ধরে। ধর্ষণ শেষে ওই মেয়েকে পুকুরে গোসল করতে পাঠায় ও এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেয়। ঘটনারদিন বিকেলে ছাত্রীর মা বিষয়টি জানতে পেরে কোন একটি ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে ডাক্তার না পাওয়ায় বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসে । পরের দিন বৃহস্পতিবার উপজেলার এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত এলেঙ্গা ক্লিনিক এন্ড নার্সিং হোমে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরের দিন শুক্রবার রাত্রে শিশুটির অবস্থা অবনতি হলে শনিবার সকালে শিশুটিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের গাইনী বিভাগের ডা.নাজমা খলিল বলেন,ধর্ষনের আলামত পাওয়া গেছে। শিশুটিকে ১০টি সেলাই করা হয়েছে। পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে কমপক্ষে ৩মাস সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে কালিহাতী থানার ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাহবুব ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় শিশুটির পিতা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছে। তদন্ত শেষে দফায় দফায় অভিয়ান চালিয়ে আসামী গ্রেফতার করতে পারিনি। আসামী পলাতক রয়েছে।অভিয়ান অব্যাহত রয়েছে।
সব খবর/ টাঙ্গাইল/ ১০ জুন ২০১৮/ লিটন