এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হবে না, আশা মন্ত্রীর

কোনো ধরনের প্রশ্নপত্র ফাঁস ছাড়াই এবার উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা শেষে হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কড়া নজরদারি রাখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

সোমবার সকালে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু উপলক্ষে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী বলেন, গত এসএসসি পরীক্ষায় কোনো প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। এবারও হবে না। এ বিষয়ে শিক্ষক, পরীক্ষার্থী, অভিভাবক এবং গণমাধ্যমসহ সবার সহযোহিতা চাই।

তিনি বলেন, ছাপাখানায় প্রশ্ন ছাপা হয়। তারপর এটা আর কেউ দেখেন না। বোর্ডের কেউ দেখেন না, মন্ত্রণালয়ের কেউ দেখেন না, কেউ দেখেন না। এই বিষয়গুলো জনগণের কিন্তু আসলে সেভাবে জানা নেই।

পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সবার সহযোগিতা কামনা করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যত বিশাল কর্মযজ্ঞই হোক, সবার যদি সহযোগিতা থাকে, তাহলে সেই কঠিন কাজও সহজ হয়ে যায়।’

এসএসসি পরীক্ষার সময় প্রশ্নপত্র ছাপা নিয়ে যে সমস্যা হয়েছিলো সে প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘একটি জায়গায় ছাপা কিছু অস্পষ্ট ছিলো, একটি প্রশ্নপত্রে দুই পৃষ্ঠায় দুই রকম প্রশ্ন ছাপা হয়েছিলো, সেই পরীক্ষা বাতিল করে আবার নেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন এসেছে। আমরা সেগুলো দেখে সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’ ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এর জন্য নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে, সেই পদ্ধতি অনুযায়ী মূল্যায়ন হবে।’

সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছাড়ানোর বিষয়য়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থা নজরদারি করছে। কেউ যদি কোনও অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকে, প্রতারণা করে, গুজব ছড়ায় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে অভিভাবকদের কোনও রকম গুজবে কান দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। কারও ফাঁদে পা দেবেন না, কারণ আমরা বিশ্বাস করি প্রশ্নপত্র ফাঁস হবে না। প্রশ্নপত্র ফাঁসমুক্তভাবেই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।’

অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা থাকবে না, এমন কোনো নির্দেশনা আছে কিনা- প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা না নেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সেটি নিয়ে কাজ করছেন, তারা সেটিকে বাস্তবায়ন করবে।

তিনি বলেন, শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করবো, তবে একবারে সবকিছু করা সম্ভব হবে না, পর্যায়ক্রমে আমরা শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করবো।

কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘১ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। আমি আশা করছি প্রতিটি জেলা, উপজেলার প্রশাসন বিষয়টি মানিটরিং করবে। কোচিংগুলো সত্যি সত্যিই বন্ধ থাকছে বিষয়টি নিশ্চিত করবে।’