লক্ষ্মীপুরের রামগতির বিছিন্ন চর আবদুল্লাহর দু'টি খামার থেকে জোয়ারে ভেসে যাওয়া ১৫০টি মহিষ এখনও নিখোঁজ রয়েছে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ৩৫০টি মহিষ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গেছে। এর আগে বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার সকালে প্রবল জোয়ারে চর প্লাবিত হয়ে স্রোতের টানে বাছুরসহ প্রায় ৫শ' মহিষ মেঘনায় ভেসে যায়।খামারের মালিক মো. নূর নবী ও আবুল কাশেম জানান, রামগতির মেঘনায় জেগে উঠা চর আবদুল্লাতে তারা গত একযুগেরও বেশি সময় ধরে মহিষ পালন করে আসছেন। তাদের খামারে বিভিন্ন মালিকের প্রায় এক হাজার মহিষ রয়েছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে সেখানে তারা উঁচু মাটির ভিটি স্থাপন করেন। জোয়ার এলে চরের মহিষগুলো সেখানে আশ্রয় নেয়।
তিনি আরও জানান, বুধবার রাতে মেঘার অস্বাভাবিক জোয়ার ও নদীর তীব্র ঢেউয়ে বাছুরসহ প্রায় ৫শ' মহিষ ভেসে যায়। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত রামগতির বালুর চর, ঠুয়ারচর, বাংলাবাজার, আসলপাড়া, সেন্টারখাল, কালিরখাল থেকে স্থানীয় লোকজন সাড়ে তিনশ' মহিষ উদ্ধার করে। তবে এখনও দেড়শ' মহিষ নিখোঁজ রয়েছে। এ সব মহিষ উদ্ধারে মালিকরা চেষ্টা অব্যাহত রেখেন।
রামগতি মহিষ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মামুন মোল্লা বলেন, রামগতি থেকে বিচ্ছিন্ন দুর্গম ওই চরের বিভিন্ন খামারে তিন হাজারেরও বেশি মহিষ লালন পালন করা হয়। কিন্তু দুর্যোগে এ সব মহিষ রক্ষায় কোনো ব্যবস্থা নেই। মহিষ মালিকরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে মাটির ভিটি স্থাপন করেছেন।
তবে তা যথেষ্ট নয়। এ ছাড়া অস্বাভাবিক জোয়ার এলে ওই ভিটি ডুবে যায়। ভেসে যায় মহিষ। যে কারণে প্রতিবছর শত শত মহিষ জোয়ারে ভেসে নিখোঁজ হয়।
রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রফিকুল হক বলেন, মহিষ নিখোঁজ ও উদ্ধারের বিষয় তিনি খোঁজ-খবর রেখেছেন। চরে পাঁচটি মাটির ভিটি স্থাপনের ব্যাপারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও উপজেলা পরিষদ থেকেও দুইটি ভিটি নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মুহাম্মদ নূরুল আমিন, সম্পাদকীয় কার্যালয়: চরফ্যাশন ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি (সিআইআইটি) রতন প্লাজার তৃতীয় তলা, সদর রোড, চরফ্যাশন, ভোলা।
ঢাকা অফিস: রায়পুরা হাউস (২য় তলা), ৫/এ, আউটার সার্কুলার রোড, পশ্চিম মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭ / যোগাযোগ : ০১৭১৬-২৩৭১০৮, ০১৭৬২-৪৪৭২২৮, ইমেইল : chattalanews@gmail.com