পৃথিবীতে প্রতিদিন নতুন করে যৌন সংক্রমণের শিকার হচ্ছে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ। অর্থাৎ গনোরিয়া, ক্ল্যামাইডিয়া, সিফিলিস, ট্রাইকোমোনাইসিসের মতো রোগে প্রতিবছর ৩৭ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন।
কিন্তু সে অনুযায়ী এসব রোগ প্রতিরোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। ফলে একে ভবিষ্যতের জন্য ‘ওয়েক আপ কল’ হিসেবে উল্লেখ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গত ৬ জুন প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ডব্লিউএইচও এসব কথা বলেছে।
সংস্থাটি প্রতিনিয়ত যৌনবাহিত বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ নিয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যা তৈরিতে বিভিন্ন গবেষণাপত্রের তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে বিশ্বে প্রতি ২৫ জনের একজন অন্তত চারটি যৌনবাহিত রোগের একটিতে আক্রান্ত। কেউ কেউ আবার একাধিক সংক্রমণের শিকার। এসব রোগাক্রান্ত ব্যক্তির রক্তপাত, প্রস্রাবের সময় ব্যথা হতে পারে। নারীদের ক্ষেত্রে অনেক সময় মাসিকের মাঝামাঝি পর্যায়ে রক্তপাত হতে পারে। ক্ল্যামাইডিয়া ও গনোরিয়ার কারণে অনেক সময় নারীরা গর্ভধারণের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
আর সিফিলিসের কারণে কার্ডিওভাস্কুলার ও স্নায়ুরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে কখনো কখনো অনেকে এমন যৌন সংক্রমণে ভুগতে পারেন, যার কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না। বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের মধ্যে কেউ সংক্রমণের শিকার হলে ফল সবচেয়ে খারাপ হয়। এ ক্ষেত্রে অপরিণত শিশু জন্ম, নবজাতকের নিউমোনিয়া, অন্ধত্বসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ডব্লিউএইচও কর্মকর্তা ড. পিটার সালামা বলেন, যৌনবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়া রোধে কার্যকর ব্যবস্থা এখনো নেওয়া যায়নি। আমাদের এই প্রতিবেদনে আশা করি সবার ঘুম ভাঙাবে। কারণ এটি একটি সতর্ক বার্তা। যৌনবাহিত রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসার সুযোগ যেন সব জায়গায় ও সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়, তা নিশ্চিতে সমন্বিত চেষ্টা চালাতে সবাইকে আহ্বান জানান তিনি।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মুহাম্মদ নূরুল আমিন, সম্পাদকীয় কার্যালয়: চরফ্যাশন ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি (সিআইআইটি) রতন প্লাজার তৃতীয় তলা, সদর রোড, চরফ্যাশন, ভোলা।
ঢাকা অফিস: রায়পুরা হাউস (২য় তলা), ৫/এ, আউটার সার্কুলার রোড, পশ্চিম মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭ / যোগাযোগ : ০১৭১৬-২৩৭১০৮, ০১৭৬২-৪৪৭২২৮, ইমেইল : chattalanews@gmail.com