শেখ জামালের জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ জামালের ৭০ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তাঁর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে।

শুক্রবার(২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা ৫১ মিনিটে বনানী কবরস্থানে এ পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এরপর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন ওবায়দুল কাদের। এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এসএম কামাল হোসেন, অ্যাড. আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি. আবদুস সবুর, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপপ্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, কার্যনিবাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।

এছাড়া পুষ্পস্তবক অর্পণ করে আওয়ামী যুবলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র শহীদ শেখ জামাল ১৯৫৪ সালের ২৮ এপ্রিল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাতে বাবা-মা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে সস্ত্রীক শহীদ হন জামাল।

সেনাবাহিনীর এই চৌকস কর্মকর্তা ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। তিনি ছিলেন সংস্কৃতিপ্রেমী এবং একজন ক্রীড়াবিদ।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে শেখ জামালও গৃহবন্দি ছিলেন। সেখান থেকে পালিয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধের ৯নম্বর সেক্টরে সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেন।

১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট ব্যাটালিয়ন ডিউটি অফিসার হিসেবে ক্যান্টনমেন্টে নিজ দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ওইদিন রাতে ক্যান্টনমেন্ট থেকে ফিরে আসেন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে। পরদিন ১৫ আগস্ট কালোরাতে ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে শহীদ হন শেখ জামাল।