স্টাফ রিপোর্টার : মানিকগঞ্জে চলতি বোরো মৌসুমে ধানের চারা রোপন শেষে ধানের জমিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষীরা। তবে, মৌসুমের খানিকটা দেরিতে আবাদ শুরু হওয়ায় শঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয় চাষিরা।
মানিকগঞ্জের সাতটি উপজেলাতেই বোরোর আবাদ করেছেন কৃষকরা। কৃষি বিভাগের হিসেবে অনুযায়ি এবছর বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৮ হাজার হেক্টর।
জমি তৈরি, সার, বীজ, সেচ, কীটনাশক, কৃষি শ্রমিক সব মিলিয়ে বিঘা প্রতি বোরো আবাদে খরচ ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। ফলন ভাল হলে প্রতি বিঘায় ধান পাওয়া যাবে অন্তত ২০ মন। নায্য দাম পেলে ধান বিক্রি করে লাভবান হবেন চাষিরা।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার দিঘী ইউনিয়নের পাথরাইল গ্রামের কৃষক বিল্লাল হোসেন জানান, এবছর তিনি তিন বিঘা জমিতে বোরোর আবাদ করেছেন। তিন বিঘা জমিতে সব খরচ মিলিয়ে তার খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। যদি ফলন ভাল হয় তাহলে তিনি প্রায় ৬০/৭০ মন ধান পাবেন। তবে, সেচের জন্য চারভাগের একভাগ ধান দিতে হয় সেচ মালিকদের।
একই গ্রামের আরেক চাষী নিজামউদ্দিন জানান, এবছর তাদের বোরোর আবাদ পিছিয়েছে প্রায় এক মাস। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সরিষার মৌসুমে প্রচুর বৃষ্টি পাতের কারণে তাদের সরিষা ঘরে তুলতে এক মাস দেরি হয়েছে। তিন মাসের এই ধান ঘরে তুলতে পারবে জ্যৈষ্ঠ মাসে। ওই সময় প্রচুর ঝড় বৃষ্টি থাকলে ধানের অনেক ক্ষতি হবে। তবে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং ফলন ভাল হলে বোরো আবাদে লাভবান হবেন কৃষকরা।
নবগ্রাম গ্রামের কৃষক মহত আলী জানান, এবছর কুয়াশায় তার প্রায় ২০ হাজার টাকার বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এখন যদি ঝড় বৃষ্টিতে পড়ে যায় তবে, কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, এবার কুয়াশায় অনেক কৃষকের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে, দেরিতে হলেও কৃষকদের শঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই বলে তিনি জানিয়েছেন। কারণ দেরিতে হলেও এখন দিন অনেক বড় এবং এই সময় ধানের চারা অনেক বেশি সূর্যের আলো পাবে যে কারণে ধানের ফলন অনেক বাড়বে।
সব খবর/ মানিকগঞ্জ/ ২৫ মার্চ ২০১৮/ লিটন