
কবিঃ ফয়সল নোই
স্তুপীকৃত জলরাশি
জীবিকার ধানের পাশে ;
জোয়ার ভাটার টান , নষ্ট বীজ
মানচিত্র, সবুজ মাটি
গাছ, ছায়া
পিতা মিশে আছে
ধারণা কল্পের চিকিৎসক !
বন্যা ও দমকা হাওয়ার ভুলে
কিছু ধান বোনা বাকি ছিল ।
বহুভাষী মেঘ ও কণ্ঠবিনোদিনীর
ভাষা বোঝা ভার । তাই, এই পনের জুনে
গ্রামগুলোর যে প্রান্ত ট্রেনের অন্য জানালায় থাকে
বাকি থেকে গেল দেখাঃ
কুড়ে ঘর, ভেজা পথ, খড়-কাঠি, ধোঁয়া ও মা,
নিঃসঙ্গ উনুন ;
অন্ধকারে লেপ্টে আছে নিস্তব্দ প্রাচীর
মতবাদহীন বিস্ময়
– নিকষ মৃত্যু সংবাদ
– রথ ও আতশবাজী
সন্ধানে, বুকে হাঁটা জল …
উপেক্ষার হুইসেল দূরে পৌঁছে দেয়
বিকেলের মধ্য দিয়ে নিয়ে গোধুলির মধ্য দিয়ে
সন্ধ্যার মধ্য দিয়ে নিয়ে রাত্রি ও নিঃসঙ্গতার মধ্য
দিয়ে নিয়ে ভোর রাতের স্টেশনের পাশ দিয়ে
অসময়ের ট্রেন কোমল ও ক্রমান্বয়
তাপের মধ্য দিয়ে নিয়ে
পরের বিকেলের পর আরো নিয়ে যায়
অন্য সন্ধ্যার মোহন ক্লান্তি-বিভ্রমের মধ্য দিয়ে
পহেলা আষাঢ়ে !
সেখানে দীর্ঘশ্বাসের মেঘলা বাতাস
দিক ভুলায় ,আর ফেরত নিতে বাধ্য করে –
– হাস্নুহানা ঝোঁপে লুকানো স্মৃতি ।
– ঘ্রাণ
– ফুল
– হাসি
– ফুলের নাভীর মতো অপূর্ব সুন্দরী
হিরক খচিত ঝাড়বাতির আলোর শিহরণ বেয়ে
নামা গিরিপথ, উপত্যকা, ছলনার বিচ্ছুরণ ।
বিষুব রেখার পুবে তখন জোড়া চাঁদ , রূপপূর্ণিমা
ঘন গ্রাম জুড়ে কামুক বর্ষার বিষণ্ন ঝড়
ঊঢ়া ফুলের গায়ে বৃষ্টি পড়ে ।