জাহিদুল হক চন্দন : স্বাস্থ্য বিধি না মেনেই জমজমাট ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে মানিকগঞ্জের ইউনাইটেড হাসপাতাল। ২০ শয্যার অনুমোদন নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ৫০ শয্যা দিয়ে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে, প্রতিষ্ঠানটিতে অনিয়ম হলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছেন।
মানিকগঞ্জ বাস্ট্যান্ডের আইমনি শপিং কমপ্লেক্সের দোতালায় দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে ইউনাইটেড হাসপাতালটি। প্রতিষ্ঠানটিতে সরকারী নিয়মনীতি লঙ্ঘনের পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেও স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন অনিয়মের কারণে গত মাসের ২০ তারিখে ওই প্রতিষ্ঠানটিকে আর্থিক জরিমানা করে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত। তবে, আর্থিকদন্ডের পরেও অনিয়ম থেমে নেই প্রতিষ্ঠানটির।
স্বাস্থ্য আইনে বলা আছে, প্রতি ১০ শয্যার হাসপাতালের জন্য ৩ জন ডাক্তার, ৬ জন নার্স, ৩ জন করে আয়া, ওয়ার্ড বয়, ওটি বয়, সুইপার থাকতে হবে। ৮০ বর্গফুট করে স্টোর রুম, জরুরি বিভাগ, বহি:বিভাগ, অটোক্লেভ রুম, চেনঞ্জিং রুম, নার্সি স্টেশন এবং ডক্টরস চেম্বারের জন্য প্রতি কক্ষে কমপক্ষে ১০০ বর্গফুট জায়গা থাকতে হবে। এছাড়াও অপারেশন থিয়েটার, অভ্যর্থনা কক্ষ, বিশ্রামাগার, পোষ্ট অপারেটিভ কক্ষে জায়গা থাকতে হবে ৩০০ বর্গফৃুট।
সরেজমিন ওই হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, ২০ শয্যার অনুমোদন নিয়ে তারা ৫০ শয্যার কার্যক্রম চালাচ্ছে। প্রতি বেডের জন্য ৮০ বর্গফুট জায়গা রাখার নিয়ম থাকলেও এ হাসপাতালে তা রাখা হয়নি। প্রতি ১০ বেডের জন্য ৩ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও তা আছে শুধু কাগজে কলমে। তাছাড়া নির্দিষ্ট সংখ্যক জনবলও সংকট রয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন রোগী জানিয়েছেন, ‘এই হাসপাতালে রোগীর অভাব নাই। হাসপাতাল ভরা ঘিঞ্চি ঘিঞ্চি বিছানা। যতটুকু পরিস্কার থাকার কথা ততটুকু পরিস্কারও না হাসপাতালটি’।
মানিকগঞ্জ ইউনাইটেড হাসপাতালের পরিচালক আবু রায়হান আল বেরুনী (রাজা) বলেন, রোগীর বাড়তি চাপের কারনে শয্যা বেশি আছে। নিয়ম অনুযায়ি পর্যাপ্ত ডাক্তার না থাকলেও সার্বক্ষনিক একজন ডাক্তার আছেন। তবে, নিয়ম বহির্ভূতভাবে কেন শয্যা বাড়িয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি নীরব ভূমিকা পালন করেন।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. মো: খুরশীদ আলম সব খবরকে জানান, ইউনাইটেড হাসপাতালের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সব খবর/ মানিকগঞ্জ/ ২৩ এপ্রিল ২০১৮/ লিটন