স্টাফ রিপোর্টার : মানিকগঞ্জে কালীগঙ্গা নদীতে গ রোববার সনাতন হিন্দুধর্মাবলম্বীদের মহাষ্টমী পুণ্য স্নানোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সামাজিক সংগঠন অন্নপূর্ণা সেবা সংঘ এই উৎসবের আয়োজন করে।
তবে নদীতে কচুরিপানা ও নদীপারে পাকা ঘাট না থাকায় পাপমুক্তির বাসনায় শত শত পুণ্যার্থী স্নানোৎসবে বিড়ম্বণায় পড়েন।
সরেজমিনে দেখা যায়, গতকাল সকাল ছয়টা থেকে জেলা শহরের বেউথা এলাকায় কালীগঙ্গা নদীর তীরে দল বেধে হিন্দুধর্মাবলম্বী নারী ও পুরুষের পাশাপাশি শিশুরা আসতে শুরু করে। তাঁরা মন্ত্র পাঠ করে ফুল, ধান, ডাল, দূর্বা, বেলপাতা নিয়ে স্নান শুরু করেন।
নদীতে কচুরিপানা ও নদীপারে পাকা ঘাট না থাকায় স্নানে এসে বিপাকে পড়েন পুণ্যার্থীরা। এ ছাড়া স্নানের পর কাপড় বদলানোর সময় বিড়ম্বণায় পড়েন নারী ও তরুণীরা। কারণ, স্নানে আসা শত শত পুণ্যার্থীদের কাপড় বদলানোর স্থান ছিল খুব ছোট পরিসর।
মানিকগঞ্জ পৌর মেয়র গাজী কামরুল হুদা মহাষ্টমী পুণ্য স্নানোৎসবের উদ্বোধন করেন। এরপর সকাল সাতটার দিকে নদীর উত্তর তীরে অন্নপূর্ণা সেবা সংঘের সভাপতি দিলীপ কুমার রাজবংশীর সভাপতিত্বে স্নানোৎসবে বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের প্রশাসক গোলাম মহীউদ্দিন, মানিকগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুল মজিদ, পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য লক্ষ্ণী চ্যাটার্জী, জেলা কমিটির সভাপতি অসীম কুমার ও স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠন মুকুল ফৌজের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস।
বেউথা এলাকায় নদীপারে পাকা ঘাট নির্মাণ ও স্নান নির্বিঘ্ন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার দাবি জানান লক্ষ্ণী চ্যাটার্জী ও অসীম কুমার বিশ্বাস।
গোলাম মহীউদ্দিন ও গাজী কামরুল হুদা আগামি বছর থেকে বেউথায় স্নানোৎসব সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে উদযাপন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার আশ্বাস দেন।
সব খবর/ মানিকগঞ্জ/ ২৫ মার্চ ২০১৮/ লিটন