স্টাফ রিপোর্টার : মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নে মঞ্জু মিয়া নামের এক ভ্যান চালককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রাকিব হোসেন ফরহাদের বিরুদ্ধে।
গত শুক্রবার বিকেলে ওই ভ্যান চালককে বাড়িতে তুলে নিয়ে গাছের সাথে বেধে বেদম মারপিট করেন চেয়ারম্যান।
এঘটনায় ভ্যান চালকের বড় ভাই বদর উদ্দিন ওই দিনই মানিকগঞ্জ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
ডায়েরিতে বদর উদ্দিন উল্লেখ করেছেন, ভাইদের সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। সে ঘটনায় একাধিকভাবে বিচার শালিস হয়। শালিসের রায় মঞ্জু মিয়ার পক্ষে যাওয়ায় শুক্রবার বিকেলে নবগ্রাম বাজার এলাকায় মঞ্জুকে ওই চেয়ারম্যান মারপিট করেন।
নির্যাতনের শিকার মঞ্জু মিয়া মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় সব খবরকে জানান, শুক্রবার বিকেলে তিনি ভ্যান চালিয়ে নবগ্রাম এলাকায় যাবার পরে মোটরসাইকেলে করে চেয়ারম্যান তাকে মারপিট করে। সেখান থেকে তাকে মোটরসাইকেলে করে চেয়ারম্যানের বাংলা ঘরে যান। সেখানে তাকে বেধে লাঠি দিয়ে আরেক দফা মারপিট করেন। ওই সময় চেয়ারম্যান তার পকেটে এক পুরিয়া গাঁজা ঢুকিয়ে দেয়। চেয়ারম্যান তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে গাঁজা সেবন ও বিক্রির সাথে জড়িত থাকার কথা বলতে বলে। গাঁজা বিক্রি ও সেবনের কথা তিনি অস্বীকার করলে তাকে আবারো পেটানো হয়।
তিনি আরো বলেন, আমি জীবনে কোন দিন গাঁজা খাইনি এবং বিক্রিও করিনি। চেয়ারম্যান অন্যায়ভাবে আমাকে পিটিয়েছে। সালিসে জমির ব্যাপারে আমার পক্ষে রায় আসাতেই তিনি এই কাজ করেছেন। অন্য পক্ষ থেকে বিশেষ সুবিধা নিয়েই এই কাজ করেছেন বলে তিনি মনে করেন।
তিনি বলেন, স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে এখন অনেক আতঙ্কে আছি। চেয়ারম্যান আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার কথাও বলেছেন।
এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান রাকিব হোসেন ফরহাদ বলেন, মঞ্জুর এক ভাই জমি নিয়ে তার কাছে নালিশ করেছিল তাই তাকে একটু শাসন করা হয়েছে। আইনের আশ্রয় না নিয়ে তাকে কেন মারপিট করেলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি।
সব খবর/ মানিকগঞ্জ/ ১৫ মে ২০১৮/ লিটন