আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত এখন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণ তা সফল হতে দেবে না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সচেতন থাকবেন, ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করতে হবে।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন নির্বাচন হবে। ইনশাআল্লাহ সুষ্ঠু, সুন্দর, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। আর সেই নির্বাচন কেউ ব্যাহত করার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মুখে বুড়ো আঙুল দিয়ে বসে থাকবে না। বাংলাদেশে যারা অশান্তি সৃষ্টি করবে জনগণ তাদেরকে সঠিক জবাব দেবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের লোকজন বলেছিল, আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে মসজিদে উলুধ্বনি হবে। উনারা কিন্তু ১৯৭৫ থেকে শুরু করে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ছিল। আবার ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ছিল। উনারা কিন্তু মসজিদ-মাদরাসা করেনি। উনারা লুটপাট করতে ব্যস্ত ছিল। নিরীহ মানুষ মারতে ব্যস্ত ছিল। আর জননেত্রী শেখ হাসিনা সাত হাজার কোটি টাকা খরচ করে প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ তৈরি করে দিয়েছেন। যারা পাকিস্তানকে ভালোবাসে তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন করবে না।
২৮ অক্টোবরের কর্মসূচি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপি তেলেসমাতি দেখাবে। আমরা তো পাকিস্তান আর্মির তেলেসমাতি দেখেছি। উনাদের (বিএনপি) তেলেসমাতি আর কি দেখব? উনাদের নেতারা তো আইছে আর গেছে।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন বিএনপি-জামায়াতের সহ্য হয় না। এখনো বাংলাদেশে এক ডলার ১১০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে থাকে। আর এই এক ডলারের দাম পাকিস্তানে ৩০০ রুপি। যেহেতু উনাদের বাবাদের দেশ পাকিস্তান, সেখানে বাংলাদেশের উন্নতি হচ্ছে সেটি তাদের ভালো লাগে না।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আনিসুল হক বলেন, কারা নির্বাচনে এলো আর কারা নির্বাচনে এলো না সেটি ভাবার বিষয় না। লক্ষ্য রাখতে হবে জনগণ যেন তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে ভোটকেন্দ্রে যায়। উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনার নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে। এ সময় নেতা-কর্মীদের আইনমন্ত্রীর পক্ষ হয়ে জনগণের কাছে গিয়ে ভোট চাইতে বলেন তিনি।
এর আগে আইনমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ২৫ হাজার চারা বিতরণ করেন।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় ট্রেনে ঢাকা থেকে আখাউড়ায় পৌঁছান আইনমন্ত্রী। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল বলেছেন ‘বিএনপি নেতা-কর্মীদের মামলার বিচারকাজের জন্য রাতেও আদালত বসানো হচ্ছে। মির্জা ফখরুলকে ভালো জানতাম। কিন্তু তিনি এখন অনেক কথাই জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য বলেন।
তিনি আরও বলেন, সকল রাজনৈতিক দলের আন্দোলন করার অধিকার আছে। তবে আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।
এ সময় আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।