ডেস্ক রিপোর্ট : বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কলেজছাত্রীকে নিজ বাড়িতে নিয়ে রাতভর আটক রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার এ ঘটনায় ওই কলেজছাত্রী বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ মামলা করেছেন।
গত ২৯ মে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ দায়ের করা এই মামলায় অভিযুক্ত ফারুক মিয়াকে প্রধান করে ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুসন্ধানপূর্বক এর সত্যতা যাচাই করে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে কুলিয়ারচর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
কুলিয়ারচর থানার ওসি মো. নান্নু মোল্লা পিটিশনটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য থানার এসআই মো. আবদুর রহমানকে দায়িত্ব দিয়েছেন। কিন্তু ৭ কর্মদিবস চলে গেলেও এখনও আদালতে প্রতিবেদন দিতে পারেনি পুলিশ।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, কুলিয়ারচর উপজেলার মৃত রমিজ উদ্দিনের ছেলে ফারুক মিয়া গত ১৪ মে ওই কলেজছাত্রীকে ফুসলিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। সকালে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে রাতে তাকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি পরদিন জানাজানি হলে মেয়েটিকে ঘরে একা রেখে ফারুক পালিয়ে যায়। ফারুকের পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি গোপন রাখার জন্য কলেজছাত্রীর ওপর চাপ সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে তারা কলেজছাত্রীকে একটি ঘরে আটকে রেখে নির্যাতন করে। তারা তার বাম হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিক স্থানে কেটে লবণ লাগিয়ে দেয়।
সংবাদ পেয়ে কুলিয়ারচর থানা পুলিশ রাত ১১টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করিয়ে থানায় নিয়ে যায়।
অভিযুক্ত ফারুক মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও এ বিষয়ে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুলিয়ারচর থানার এসআই মো. আবদুর রহমান বলেন, কলেজছাত্রীকে ফারুকের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হলেও তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত কারণ জানা যাবে। সে অনুযায়ী আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
সব খবর/ কিশোরগঞ্জ/ ১০ জুন ২০১৮/ লিটন